জাতীয়

মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর রেকর্ড! গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ৫৮ হাজার

মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর রেকর্ড! গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ৫৮ হাজার - West Bengal News 24

কিছুতেই স্বস্তি দিচ্ছে না মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। বুধবার মহারাষ্ট্র রেকর্ড মৃত্যু সংখ্যা দেখল। একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯২০। যা মৃত্যুর নিরিখে মহারাষ্ট্রের সমস্ত রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। এবং ৫৭ হাজারের উপর আক্রান্তের সংখ্যা। যা রীতিমতন ভয় দেখাচ্ছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যের কয়েকটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলায় সংক্রমণ হ্রাসের প্রবণতা দেখা গিয়েছে।

কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রের করোনা গ্রাফ নেমে যাওয়ার পর ফের একবার তা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা রীতিমতো শঙ্কিত করছে মানুষকে। উদ্ধব সরকার শাসিত রাজ্যে লকডাউনের কিছু কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রে করোনার জেরে ৬.৪১ লাখ অ্যাক্টিভ কোভিড কেস রয়েছে।রাজধানী মুম্বইতে ৩ হাজার ৮৭৯ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছে। করোনার বলি হয়েছে ৭৭ জন। তবে মুম্বইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে পুনে। সেখানে ৯ হাজার ০৮৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে ৯৩ জন।

গতকালই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মহারাষ্ট্রের সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ পরিচালনার প্রশংসা করেছিল। দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য বাণিজ্য নগরী মুম্বাই মডেল (Mumbai Model) কে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ বলেন যে, রাজ্যের ১৫ টি জেলা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তার জন্যে মহারাষ্ট্রে ৬.৪১ লক্ষ অ্যাক্টিভ কোভিড কেস রয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে এখন কম হচ্ছে।

যে সমস্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সেগুলি হল মুম্বই, আওরঙ্গবাদ, থানে, নাসিক, রায়গড়, নাগপুর, লাতুর, আম্রাবতী, নান্দেদ, ধুলে, ভান্ডারা, নন্দুরবার, ওসমানাবাদ, চন্দ্রপুর এবং গন্ডিয়া। তবে, টানা দুই দিন একটু স্বস্তি দেওয়ার পরে মুম্বইয়ের দৈনিক সংক্রমণ ১,৩০০ এরও বেশি বেড়েছে, এবং দৈনিক প্রাণহানি ১৫ জন বেড়েছে। আগের দিন দেশের বাণিজ্য নগরী ২ হাজার ৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৬২ জন মারা গিয়েছিল।

গত তিন দিনে ৩০ হাজারেরও কম করোনভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছিল। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৫ হাজার ৩৭৭ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মুম্বইয়ে ৪ এপ্রিল এক দিনে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ১৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছিল। তারপর কমতে শুরু করেছে।

সূত্র : কলকাতা২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button