অভিনয়ের আগে তারা যা করতেন জানলে অবাক হবেন
খুব একটা খারাপ ছিলেন না তাঁরা, ভালো বেতনে চাকরি করতেন। সেখান থেকে অভিনয়ে এসেও মাতিয়ে যাচ্ছেন। আকর্ষণীয় চাকরি ছেড়ে বলিউডে আসা তারকাদের খবর জেনে নিন…
পরিণীতি চোপড়া
উচ্চশিক্ষা নিতে ১৭ বছর বয়সেই লন্ডনে চলে যান। ম্যানচেস্টার বিজনেস স্কুল থেকে বিজনেস, ফিন্যান্স ও অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষার্থী থাকাকালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের ক্যাটারিং বিভাগের টিম লিডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মুম্বাইয়ে ফিরে তিনি যশরাজ ফিল্মস স্টুডিওর পাবলিক রিলেশন কলসালট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। সেখানেই তাঁকে ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বাল’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ব্যস, জনসংযোগ কর্মকর্তা থেকে পুরোপুরি অভিনেত্রী বনে যান পরিণীতি চোপড়া।
আয়ুষ্মান খুরানা
মাস্টার্স পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে। ক্যারিয়ার শুরু করেন রেডিও জকি হিসেবে। এরপর এমটিভি ইন্ডিয়ার একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। হঠাৎই ২০১২ সালে ‘ভিকি ডোনার’ ছবির প্রস্তাব, অভিনয়ের সঙ্গে ‘পানি ধা’ গান দিয়ে রাতারাতি হিট হয়ে যান আয়ুষ্মান খুরানা।
তাপসী পান্নু
বলিউডে পা রাখার আগে তাপসী পান্নু তামিল, তেলেগু ও মালয়ালাম ছবি করেন। তারও আগে ছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। দিল্লির তেগ বাহাদুর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক। চ্যানেল ভির ট্যালেন্ট শো ‘গেট গর্জিয়াস’ দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন। অভিনয়ে এলেও অভিনেত্রীর গণিতপ্রিয়তা আছে আগের মতোই। শুটিং সেটে সময় পেলেই নানা গাণিতিক সমস্যার সমাধান করেন।
সোনাক্ষী সিনহা
ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে স্নাতক করেন মুম্বাইয়ের শ্রীমতী নাথিবাই দামোদর থাকেরসি উইমেনস ইউনিভার্সিটি থেকে। অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার আগে ‘মেরা দিল লেকে দেখো’ নামে একটি ছবিতে কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজও করেছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। অভিনয়ে না এলে এই পেশাই ক্যারিয়ার গড়তেন।
রণদীপ হুডা
স্নাতক পড়তে অল্প বয়সেই উড়ে গিয়েছিলেন মেলবোর্নে। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। দেশে ফিরে একটি মার্কেটিং ফার্মে উচ্চ বেতনের চাকরি নেন। ২০০১ সালে ‘মনসুন ওয়েডিং’ দিয়ে অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু রণদীপ হুডার।
রণবীর সিং
ছোটবেলা থেকেই নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তবে স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে পড়াশোনায় ইতি টানেননি। স্নাতক যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০০৭ সালে ভারতে ফিরে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কপিরাইটার হিসেবে কাজ করেন। এরপর যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ দিয়ে স্বপ্নের জগতে পা রাখেন।
হৃতেশ দেশমুখ
অভিনেতা ছাড়াও তাঁর আরেকটি পরিচয় আছে—কমলা রাজেশা বিদ্যানিধি ইনস্টিটিউট থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় ডিগ্রি নিয়েছেন। অভিনয়ে আসার আগে নিউ ইয়র্কের একটি আর্কিটেকচারাল ফার্মে চাকরিও করতেন। এখনো ‘রেভল্যুশন’ নামে আর্কিটেকচারাল ও ইন্টেরিয়ার ডিজাইনিংয়ের একটি ফার্ম রয়েছে ‘ধামাল’ অভিনেতার।