খেলা

মারাদোনার মৃত্যু পূর্বপরিকল্পিত খুন! মারাদোনার মেডিক্যাল টিমের সাতজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ

মারাদোনার মৃত্যু পূর্বপরিকল্পিত খুন! মারাদোনার মেডিক্যাল টিমের সাতজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ - West Bengal News 24

মারাদোনার মৃত্যু পূর্বপরিকল্পিত ছিল? অকাল প্রয়াণের পিছনে তাঁরই চিকিত্‍সকরা দায়ী? এসবই একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আসলে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানতে পেরেছে, মারাদোনাকে আসলে মারা হয়েছে। আর তার জন্য তাঁর চিকিত্‍সক দলই সম্পূর্ণ দায়ী।

গত নভেম্বরে মারাদোনা (Diego Maradona) মারা যাওয়ার পর থেকে তদন্ত চালানো হচ্ছিল। সেই তদন্তে ধরা পড়েছে ফুটবলের কিংবদন্তিকে আসলে মারার পিছনে সাতজন দায়ী। যাঁদের মধ্যে মারাদোনার নিউরো চিকিত্‍সক লিওপন্ডো লুক, সাইকিয়াট্রিস্ট আগুস্টিনা কোসাচভ, মনোবিদ কার্লোস ডিয়াজরা রয়েছেন। এঁরা যদি প্রকৃত দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে প্রত্যেককে আট থেকে ২৫ বছরের জন্য জেলে থাকতে হবে।

বুধবার সান ইসিড্রো অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, মারাদোনার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পিছনে ছিল চিকিত্‍সার গাফিলাতি। ‘দীর্ঘক্ষণ বেদনাদায়ক’ যন্ত্রণা মারাদোনাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাঁর ইহলোক ছেড়ে চলে যাওয়ার আগের সপ্তাহে মাথায় রক্ত জমাট বাঁধার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

এএফপিকে সূত্র জানিয়েছে, ‘এত অনাচারের পরে একটা বৃত্তে এসে দাঁড়িয়েছে।’ সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের জানানো হয়েছে, দেশ ছেড়ে যাওয়া চলবে না। ৩১ মে থেকে ১৪ জুনের মধ্যে চলা তদন্তে উপস্থিত থাকতে হবে। মারাদোনার পাঁচ মেয়ের মধ্যে দু’জন লুকের বিপক্ষে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কাজ শুরু হয়।

দুই মেয়ের অভিযোগ ছিল, ব্রেনের অস্ত্রোপচারের পর মারাদোনার অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। প্রসিকিউটররা অবশ্য বিশ্বাস করছেন না চিকিত্‍সার গাফিলাতির জন্য মারাদোনার মৃত্যু হয়েছে। তবে চিকিত্‍সকরা জানতেন ফুটবলের কিংবদন্তি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার জন্য যতটা বাধা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল তাঁরা তা করেননি। তারচেয়ে বড় অভিযোগ হল, প্রচণ্ড মাদকাসক্ত, মনরোগের ওষুধ ও গাঁজা সেবন সত্ত্বেও কেউ মারাদোনাকে বাধা দেননি। মারা যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে কেউ আর্জেন্টাইন তারকাকে সেভাবে দেখভাল করেননি। এমনিতেই তাঁর উত্তরাধিকার নিয়ে পরিবারের মধ্যে মামলা চলছে। তার উপর এই মামলা এখন অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়ে গেল।

সুত্র : সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য