ওদের সাহায্যের প্রয়োজন তা আগেই জানা গিয়েছে। কাজ নেই, ব্যবসা নেই। পেটে টান। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সংবেদন (sangbedan)।
সংবেদন নামে সংস্থার উদ্যোগে, ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ড (voice of world) এর সাহায্যে আমু কেয়ার ও কেয়ার বার্ডস এর সহযোগিতা উত্তর কলকাতার সোনাগাছি অঞ্চলে প্রবীণ মহিলাদের মাসিক রেশন তুলে দেওয়া হল। এই কাজে তাদের পাশে ছিল ডিসিএম স্বামী বিবেকানন্দ তরুণ সংঘ ও কেদার দাস ও চৈতালি দেবীরা।
সংবেদনের সম্পাদক সমিত সাহা জানিয়েছেন, ‘গত দেড় বছর ধরে আমরা এমন কাজ করে আসছি। ১০০ জনকে আমরা মাসিক রেশন দিচ্ছি। যাতে বেশি ভিড় না হয় তাই চার দিন বিষয়টা ভাগ করে নিয়েছি। ২৫ জন করে প্রত্যেকদিন ওই মহিলাদের দেওয়া হচ্ছে রেশন’
কী কী রয়েছে রেশনের তালিকায় ? সমিতবাবু জানিয়েছেন, ‘পাচঁ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি চিনি, দুধ , আটা, ময়দা, বিস্কুট, সুজি, ছাতু, মশলা, সাবান, মাজন সমস্ত দেওয়া হয়েছে। সংসার চালাতে লাগে সবই দেওয়া হয়েছে।’
প্রয়োজনে আরও সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (NGO)। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বহু যৌন কর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে আবারও বিপুল আর্থিক অনটন। দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির পক্ষে মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও তার জেরে লকডাউন এর জেরে আমাদের লক্ষ মেয়েরা যারা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত তারা বিপুল সমস্যায় পড়েছে। ওদের খাবার(food) যোগানটাও নেই।
একদিন ব্যবসা বন্ধ হলে ওদের ঘর ভাড়া থেকে শুরু করে অনেক কিছুতেই সমস্যা হয়ে যায়। গতবার আড়াই মাস লকডাউনের জের দীর্ঘ দিন ছিল। দেনা শোধ করতে পারেনি অনেকেই। আবার পনেরো দিন লকডাউন। মেয়েদের অবস্থা খুব খারাপ। তাই আমরা সাহায্যের হাত চাইছি। যারাই সাহায্য করবেন তাদের প্রতি দুর্বার চির কৃতজ্ঞ থাকব’।
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘ডঃ জানার মৃত্যু আমাদের দারুন ভাবে প্রভাব ফেলেছে। উনি আমাদের উপর বট গাছের ছায়ায় মতো ছিলেন। আমাদের কাজ দাঁড়িয়ে না থাকলেও মেয়েদের নিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি। ওদের ব্যাংকের ব্যবস্থা করে দিলেও তা দিয়ে তো সংসার চলবে না। তাও।এতদিন। একদিন কাজ বন্ধ হলে ওদের দিন আনি দিন খাই অবস্থা হয়ে যায়। এই অবস্থায় ওদের সাহায্যের প্ৰয়োজন।
কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বত্র যেখানে দুর্বার কাজ করছে আমরা দেখছি সমস্ত স্থানের মেয়েদের একই অবস্থা। একদম ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করতে পারেন। আর্থিক ভাবে না হলেও কলকাতার যৌনকর্মীদের কিছুটা সাহায্য করল ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
সুত্র :কলকাতা ২৪*৭