জাতীয়

মহারাষ্ট্রে ফের একদিনে কোভিড আক্রান্ত প্রায় ২১ হাজার

মহারাষ্ট্রে ফের একদিনে কোভিড আক্রান্ত প্রায় ২১ হাজার - West Bengal News 24

গোটা দেশ করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল। দেশে করোনা থাবা বসানোর পর থেকেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছিল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) । শুরু থেকেই মারাঠাভূমে বিদ্যুৎ গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সেই ট্রেন্ড এখনো বজায় আছে। গতকাল মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী নতুন করে প্রায় ২১ হাজার মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। একইসঙ্গে একদিনে করোনায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৪৩ জনের।

সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবুও বেড়ে চলা সংক্রমণে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে টিকাকরণের (Vaccination) গতি আরও বাড়াতে তৎপরতা নিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের (Udhhav Thakrey) সরকার। তবে করোনা টিকার (Vaccine) পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় আপাতত সেই তৎপরতাতেও ধাক্কা লেগেছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একদিন মহারাষ্ট্রে নতুন করে ২০ হাজার ২৯৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৪৩ জনের। এরই পাশাপাশি গতকাল রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৯৬৪ জন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে মারাঠাভূমে একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবুও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোখা যাচ্ছে না।

গত কয়েকদিনে সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে রাজ্যের অন্য মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। করোনাকালে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতেও নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবুও সংক্রমণে বেড়ি পরানো যাচ্ছে না।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ লক্ষ ১৩ হাজার ২১৫। রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৭৩। এখনও পর্যন্ত ৫৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৩৮ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। দেশে সার্বিকভাবে করোনার সংক্রমণের গতি এখন নিম্নমুখী। অন্তত গত কয়েকদিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য তাই বলছে।

বিশেষজ্ঞর বলছেন, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে-রাজ্যে লকডাউন (Lockdown)-সহ নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তার জেরেই সংক্রমণে কিছুটা হলেও লাগাম পরানো গিয়েছে। এরই পাশাপাশি টিকাকরণের গতি যদি আরও বাড়ানো যায় তবে সংক্রমণের শৃঙ্খল আর ভাঙা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুত্র : কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button