এবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতাকে চিঠি দীপেন্দু বিশ্বাসের
তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে নিজের হাতে হাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখলেন স্ট্রাইকার দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)। তিনি লিখেছেন, ভোটের আগে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে মমতার অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চান।
স্বল্প সময়ের মধ্যেই পদ্মের সংসারে মোহভঙ্গ হয়েছে ফুটবলার তথা প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসের। মেল করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন দীপেন্দু। দল ছাড়ার পরই তৃণমূলের সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ করেন তিনি। সেইসময়ই তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। আর সেটাই সত্যি হল।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র ১,৫৮৬ ভোটে বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের কাছে হেরে যান দীপেন্দু। তবে দীপেন্দুকে বসিরহাটে সংগঠনের দায়িত্বে রেখে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর আস্থার মর্যাদা দিয়ে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ফের দীপেন্দুকে প্রার্থী করেন তিনি। সেই শমীক ভট্টাচার্যকেই ২৪ হাজার ৫৮ ভোটে হারান বসিরহাটের ঘরের ছেলে মিঠু।
তৃণমূল অবশ্য এবার তাঁর ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। ফলে টিকিট না পেয়ে অভিমানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপেন্দু। যদিও বিজেপিতে গিয়েও দীপেন্দুর কোনও লাভ হয়নি। সেখানে গিয়েও বিজেপির প্রার্থী হতে পারেননি দীপেন্দু। তাঁকে দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। বিজেপিতে যোগদান করলেও ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি দীপেন্দুকে। অবশেষে বিজেপি ত্যাগ করেন তিনি।
তারপরই নারদ মামলায় দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারি এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের সুরেই দীপেন্দু বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তৃণমূলের ২ মন্ত্রী, একজন বর্তমান বিধায়ক ও একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’
সূত্র : কলকাতা ২৪*৭