নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বাধা, কথা বলতে হবে শুধু হিন্দি আর ইংরেজিতে, নির্দেশ দিল্লির হাসপাতালের
মাতৃভাষায় কথা বলা যাবে না, নিজেদের মধ্যেও কথা শুধু বলতে হবে হিন্দি আর ইংরেজিতে, এমনই নির্দেশিকা জারি করেছিল দিল্লির এক হাসপাতাল। মালয়ালম ভাষী নার্সদের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তা সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির গোবিন্দ বল্লভ পান্ত ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে। সেখানকার মালয়ালম ভাষী নার্সদের উদ্দেশে সম্প্রতি সার্কুলার জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
বলা হয়েছে হিন্দি বা ইংরেজি ভাষাই একমাত্র ব্যবহার করা যাবে। নিজেদের মধ্যে কথোপকথনেও মালয়ালম বা অন্য কোনও ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন নার্সরা। দিল্লির মালয়ালী নার্স ইউনিয়নের তরফ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এমন একটি নির্দেশিকা জারি করার পিছনে যাঁদের হাত রয়েছে তাঁদের কড়া শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের নার্সরা। দিল্লি অ্যাকশন কমিটি অফ মালয়ালী নার্সেসের প্রতিনিধি ফামীর সিকে জানিয়েছেন, ‘আমরা হতবাক।
আমাদের মনে হয় এভাবে আমাদের ভাষাগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। যাঁরা এটা করেছেন আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমাদের গোটা রাজ্যকেই এভাবে অপমান করা হয়েছে।’ গত ৫ জুন বিতর্কিত এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সমালোচনার মুখে তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল তাঁদের অনুমতি না নিয়েই, দিল্লি সরকারকে না জানিয়েই এই সার্কুলার জারি করে ফেলা হয়েছিল।
কিন্তু এমন অজুহাত মানতে রাজি হননি নার্সরা। তাঁদের কথায় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সার্কুলার জারি করা সম্ভবই না। ফলে প্রতিবাদ আন্দোলন তাঁরা থামাননি। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নার্স ইউনিয়ন। দিল্লি সরকারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
সুত্র : দ্য ওয়াল
