গতকালই পদ্ম শিবির ছেড়ে নিজের পুরানো দল ঘাসফুলে ফিরেছেন মুকুল রায়। বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে তিনি এখন তৃণমূলের সৈনিক। আর এই ঘটনায় গতকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে। খোদ বিজেপির অন্দরেই চলছে লড়াই, একপক্ষ দলের নীতি ও নিয়ম নিয়ে কটাক্ষ করছেন আর একপক্ষ মুকুল রায়কে বারবার আক্রমণ করছেন। মাঝে রয়েছেন আরও একপক্ষ যারা চুপ রয়েছেন, কোনও প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন না। আক্রমণের তালিকায় রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। গতকালই তিনি টুইট করে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
বিজেপি ত্যাগ করার পরই রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়ে বাবুল গতকাল জানিয়েছেন, ‘আচ্ছা বলুন তো, রাজনৈতিক নেতাদের মানুষ অপছন্দ কেন করবে না? কোনও রাজনৈতিক নেতার থেকে ‘নৈতিক’ কিছু মানুষ আর আশা করে না, তাদের দোষও দেব না। দলও অনেকেই বদলায়, সেটাও ঠিক আছে। কিন্তু ব্যাডমিন্টনের শাটল-এর মতো এদিক ওদিক করার একটা বয়সও তো আছে।
আত্মসম্মান ব্যাপারটা না হয় ছেড়েই দিলাম.. যাইহোক, মুকুলদা যে ধরণের ‘গভীর জলের মাছেদের’ সঙ্গে ঘোলাজলে সাঁতার কাটতে ভালোবাসেন, সেখানেই খুশি মনে ফিরে গেছেন এটা বেশ ভালোই হয়েছে !’ বিজেপিতে মুকুল রায়ের যোগের পর তাঁর সবচেয়ে কাছের যদি কেউ হয়ে থাকেন তাহলে লকেট চ্যাটার্জী ও বাবুল তাঁর লবির লোক বলেই বেশি পরিচিত।
২০২১-বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর তৃণমূল থেকে যাওয়া একাধিক নেতা ফের ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছেন। কেউ চিঠি লিখে বা সোশ্যাল, মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কাউকেই এখনও দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু ভোট মিটতেই একেবারে বিজেপিতে যাওয়া সবচেয়ে বড় নেতা মুকুল রায়কে তৃণমূলে যোগদান করানো সত্যি চমক বলাই যায়। আর তারফলেই বিজেপির মধ্যেই ঝগড়া লেগেছে, ক্ষোভ জমেছে কিছু নেতার মনে। তারই বহিঃপ্রকাশ করেছেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
সূত্র: এই মুহুর্তে