জামাইদের থালা সাজবে মায়ানমারের ইলিশে
জামাইষষ্ঠী এলেই বাড়ে ইলিশের চাহিদা। এ বছরও ব্যাতিক্রম নয়। বাড়ছে ইলিশ মাছের চাহিদা, কিন্তু ইয়াসের জেরে ওড়িশা এবং দীঘা উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইলিশ মাছ তেমন পাওয়া যায়নি। যার ফলে কমেছে জোগান, বাড়ছে চাহিদা। তাই এই বছরে জামাইষষ্ঠীতে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের ভরসা মায়ানমারের ইলিশ। জোগান কম থাকায় এই ইলিশ বিকোচ্ছে চড়া দামে।
গত ৯ বছর আগে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে গত বছর পুজোর আগে এপার বাংলায় ইলিশের চাহিদার কথা ভেবে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। তবে এখন বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আগামিকাল থেকে ফের গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরা যাবে। তখনই ইলিশ মাছের জোগান বাড়বে। এই বছরে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উপকূলবর্তী এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মৎস্যজীবীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন। ট্রলার, নৌকো ভেঙে যাওয়ায় ইলিশ উৎপাদন ব্যাহত হয় আর এর জেরেই জামাইষষ্ঠীর আগে মায়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেন মৎস্যজীবীরা।
সূত্র : আজকাল