মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর থেকেই আবারও প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির চিত্র। একদিকে, যখন মুকুল রায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়ার লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে, অন্যদিকে, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ ছাড়া নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)।
সোমবার রাজভবনের সামনে থেকে কার্যত মুকুল রায়কে আগামীকাল অর্থাত্ বুধবারের মধ্যে পদত্যাগের সময় বেঁধে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নাহলে বুধবার স্পিকারের কাছে লিখিতভাবে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার আবেদন করবে বিজেপি বলেও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)।
অন্যদিকে, এই বিষয় শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর দাবি, ‘শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে এত জ্ঞান কাকে দিচ্ছেন আগে বাড়িতে গিয়ে নিজের বাবাকে শেখান।’ তৃণমূলের সাংসদ থেকে ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগদান করেন শিশির অধিকারী বলেও তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে এই সব বিষয়ে উত্তর দিতে গিয়ে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শিশির অধিকারী BJP-তে যোগই দেননি। শুধুমাত্র সমর্থন করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘শিশির অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারী কোনও দলে যোগ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই।
আমাদের দলের হয়ে ভাষণ দিয়েছেন, জানা নেই। তাঁরা সমর্থন করেছেন’।এর পাশাপাশি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ ছাড়ার বিষয় দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মুকুল রায় সিনিয়র নেতা। তাঁকে মানুষ আস্থা দিয়ে ভোট দিয়েছিলেন। দল যখন ছেড়েছেন, সদস্য পদও ছেড়ে দেওয়া উচিত। বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।’ একই সঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দলত্যাগ বিরোধী আইন রয়েছে। এটা সংবিধান স্বীকৃত। এই আইন আগামী দিনে ব্যবহার করা হবে’, বলেও জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।