ঝাড়গ্রাম শ্রমজীবী ক্যান্টিনের মূল সংগঠক প্রতীক মৈত্র করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। করোনা যোদ্ধা অসুস্থ হলেও থেমে নেই পরিষেবা দানের কাজ।
প্রতিদিনের মতো শ্রমজীবী ক্যান্টিন থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষজনকে দুপুরের খাবার দেওয়া হচ্ছে। রেড ভলান্টিয়াররা করোনা আক্রান্তদের পরিষেবা দিচ্ছেন। শুক্রবার ২৫০ দিনে পড়ল ঝাড়গ্রাম শ্রমজীবী ক্যান্টিন। এদিন ক্যান্টিনে এসেছিলেন বাংলা সিনেমার বিশিষ্ট অভিনেতা দেবদূত দত্ত।
এবার ভোটে টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ছিলেন দেবদূত। তিনি বামপন্থী আন্দোলনের কর্মীও। দেবদূত বলেন, “বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী ক্যান্টিন ও রেড ভলান্টিয়ারদের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি, আমরা কিন্তু বছরের পর বছর, দশকের পর দশক মানুষের পাশে থাকি, মানুষের প্রয়োজনে থাকি।
মানুষের সমর্থন ও সহযোগিতায় প্রথম দফায় আমরা চারশো শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালাতে পেরেছি। দ্বিতীয় দফায় আমাদের কাজ চলছে। ভোট আসবে যাবে। ভোটের ফলাফল যাই হোক আমরা মানুষের প্রয়োজনে আছি। বাকিরা কথার কথা বলে। আমরা দিনে রাতে কাজে করে দেখাচ্ছি।”
আড়াইশো তম দিনে শ্রমজীবী ক্যান্টিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ঝাড়গ্রাম শহরের ওষুধ ব্যবসায়ী ইন্দ্রনীল ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী স্বাতী’জ কিচেনের কর্ত্রী স্বাতীলেখা দে ঘোষ। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন স্বাতীর বাবা স্বরূপ দে ও শ্বশুরমশাই তাপস ঘোষ।
প্রয়াত স্বরূপবাবু ও তাপসবাবুর স্মরণে এদিন ক্যান্টিনে সাহায্য করেন ইন্দ্রনীল ও স্বাতীলেখা। এদিন খাবারের মেনুতে ছিল বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, চাটনি, পাঁপড় ও মিষ্টি।