সাংসদ অর্জুনের বাড়ির কাছেই শ্যুটআউট, পুলিশের সঙ্গে বচসা অর্জুন সিংয়ের
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর বাড়ির কাছে শ্যুটআউট। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে, গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনায় জগদ্দল এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভোটের আগে থেকে এখনও পর্যন্ত জগদ্দল, ভাটপাড়া অশান্তই রয়েছে। আজ আবার এই শ্যুটআউটকে কেন্দ্র করে জগদ্দল এলাকায় নতুন করে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এদিন দুপুরে জগদ্দলে গুলি চালনার ঘটনায় আহত হন রাজু সাউ নামে এক যুবক, সাংসদ অর্জুনের দাবি তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী।
অর্জুন সিং-এর উদ্যোগে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে রাজুকে। গণতন্ত্রের হত্যা করছে তৃণমূল। এই শ্যুটআউট কাণ্ডে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ করেছেন অর্জুন সিং। ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা জড়িত বলে দাবি অর্জুনের। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে, তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অর্জুন সিং।
পাল্টা পুলিশকে হুমকি দিয়ে চড়াও হন অর্জুন সিং। ঘটনাগুলি পুলিশ করাচ্ছে, খুন করাচ্ছে, লুঠ করাচ্ছে বলে দাবি করেন অর্জুন। কেন একঘণ্টা দেরীতে পুলিশ এসেছে তাও জানতে চান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দুই বন্ধু রাজা আনসারি এবং রাজু সাউ, নিজেদের মধ্যেই ইয়ার্কি ও খেলার ছলে গুলি চলে।
রাজা আনসারিকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন অর্জুন সিং। পাল্টা জোর করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন এই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। ঘটনার সম্বন্ধে জগদ্দলের শাসকদলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম জানিয়েছেন, ‘অপরাধী এবং গুলিবিদ্ধ যুবক কেউই আমাদের দলের নয়।
পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিক। কোন দল না দেখে গ্রেফতার করুক অপরাধীদের।’ যদিও পুলিশের তরফে মামলা দায়ের করে খোঁজ চালানো হচ্ছে রাজা আনসারির। প্রশ্ন উঠেছে দুই বন্ধু খেলার ছলে কিংবা ইয়ার্কি করে কীভাবে বন্দুক চালায়? ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন সাংসদ অর্জুন সিং।
সূত্র : এই মুহুর্তে