ঝাড়গ্রাম

এসটি তালিকায় বেনোজল? তদন্তের দাবি আদিবাসী সংগঠনের

স্বপ্নীল মজুমদার

এসটি তালিকায় বেনোজল? তদন্তের দাবি আদিবাসী সংগঠনের - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: আদিবাসী নন, এমন লোকজন সিডিউল ট্রাইব তালিকাভুক্ত হয়ে জাতিগত শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত আদিবাসীরা। বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে তাঁর কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির জেলা নেতৃত্ব। সংগঠনের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন মুর্মু ও জেলা সভাপতি বৈদ্যনাথ হাঁসদা জানালেন, গত কয়েক বছরে জঙ্গলমহল সহ সারা রাজ্যে ‘কর্মকার’, ‘রায়’, ‘সাউ’, ‘হাজারি’, ‘লোহার’, ‘বাগ’ পদবির অনেকে আদিবাসী প্রার্থী হিসেবে চাকরি পেয়েছেন।

এই সব পদবির কেউ কেউ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এসটি সার্টিফিকেট দাখিল করে আদিবাসী সংরক্ষিত মেধা-তালিকায় অগ্রাধিকারও পেয়েছেন। অথচ বাস্তবক্ষেত্রে ওই সব পদবিধারীরা কখনই এসটি তালিকাভুক্ত নন। সংগঠনের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন মুর্মু বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে বিষয়টি লক্ষ্য করার পরে আমরা জেনেছি, আদপেই আদিবাসী নন, এমন লোকজন জাতিগত শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছেন।

তার ফলে সংরক্ষিত পদে কেউ কেউ চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। সংরক্ষণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। কিভাবে এটা সম্ভব হল, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিধায়কের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছি।’’

সংগঠনের তরফে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিট লিস্টের ভর্তি তালিকা এবং সরকারি নিয়োগ সংক্রান্ত তালিকার প্রতিলিপিও দেবনাথের কাছে জমা দেওয়া হয়। দেবনাথ বলেন, ‘‘অ-আদিবাসীরা জাতিগত শংসাপত্র দাখিল করে চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন বলে আদিবাসী সংগঠনটির অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি বিধানসভায় তুলব।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য