ভাইরাল

দিনে ৪০টি রুটি খেত ১২ বছরের এই বালক, পরে যা হল জানুন বিস্তারিত

দিনে ৪০টি রুটি খেত ১২ বছরের এই বালক, পরে যা হল জানুন বিস্তারিত - West Bengal News 24

বয়স মাত্র ১২। অথচ ডায়াবিটিসের রোগী সে! শিশুদের ডায়াবিটিস এখন খুব বিরল না হলেও, মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার খোড় গ্রামের কিশোর সন্দীপ আদিবাসীর ক্ষেত্রে এ সমস্যা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তার রক্তে শর্করার পরিমাণ পৌঁছয় ১২০৬ মিলিগ্রামে! এর ফলে যা হওয়ার তাই হয়, শরীরের সমস্ত অঙ্গ ধীরে ধীরে বিকল হতে শুরু করে। মাথায় জমে পুঁজ-রক্ত। অবশেষে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

অপারেশন করে বার করা হয় মাথার মধ্যে জমে থাকা পুঁজ-রক্ত। প্রাণে বাঁচে সে, তার পরেই চিকিত্‍সা শুরু হয়েছে ডায়াবিটিসের। কিন্তু এমন অবস্থা হল কী করে ছোট্ট ছেলেটির! জানা গেছে, সন্দীপের খাওয়ার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি ছিল। তার মধ্যে বেশিরভাগই শর্করা জাতীয় খাবার। যেমন সে সারাদিনে রুটিই খেত চল্লিশটা। এর ফলে তার রক্তে শর্করা বাড়তে শুরু করেছিল। সেটাই বাড়তে বাড়তে পৌঁছয় ১২০৬ মিলিগ্রামে! এই চড়া সুগারের ফলে দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ হতে হতে প্রায় হারাতে বসে সে।

শেষমেশ বাড়িতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায় সে। এর পরে ১২ বছরের সন্দীপকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। তার বাবা বনওয়াড়ি আদিবাসী জানিয়েছেন, ছেলেকে চিকিত্‍সকরা পরীক্ষা করে দেখে জানান, তার রক্তে শর্করার মাত্রা চরম বেশি। হাসপাতালের চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, যখন ছেলেটিকে নিয়ে আসা হয়, তখন শুধু তার নিঃশ্বাস পড়ছিল।

শরীরের অনেক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। তার মাথায় জমে গেছিল পুঁজ-রক্ত। এর পরেই অনন্ত রাখোড় নামের এক শল্য চিকিত্‍সক তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে ৭২০ মিলিগ্রাম পুঁজ-রক্ত বার করেন! তিনি জানিয়েছেন, মাথায় পুঁজ-রক্ত জমে যাওয়ার ফলেই সন্দীপ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। একই কারণে তার দৃষ্টিশক্তিও কমে গিয়েছিল। এখন রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য প্রতিদিন তাকে ৬ ইউনিট করে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে।

চিকিত্‍সকরা আরও জানিয়েছেন, ইনসুলিন ও অন্যান্য চিকিত্‍সায় তার রক্তে শর্করার মাত্রা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করলে, তা স্বাভাবিক হওয়ার পরেই সন্দীপের চোখের পরীক্ষা চিকিত্‍সা শুরু হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ত্রোপচার করা দরকার ছিল, তাই করেন চিকিত্‍সকরা।

ঝুঁকি ছিল ভালই, তাই অনুমতি নেওয়া হয় পরিবারের। অবশেষে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে সন্দীপ। আপাতত কঠোর অনুশাসন ও খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে তাকে থাকতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্‍সকরা। সঙ্গে চলবে ওষুধ, ইঞ্জেকশন। তবেই ধীরে ধীরে সুস্থ হবে সে, কিন্তু ডায়াবিটিস থেকে চিরতরে সেরে ওঠা হয়তো সম্ভব হবে না।

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button