লক্ষ্য ২০২৩ ত্রিপুরা দখল। তাই কোনওভাবেই মাথানত করছে না তৃণমূল। পুলিশি হেনস্থা, হোটেল ভাড়া না পাওয়া কিন্তু লড়াই চালাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। একাধিক সাংসদের উপর হামলা, গ্রেফতার তাও লড়াই চালাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির কাছে হার কিছুতেই মানছে না তৃণমূল। আর এই সাহসী লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন একদা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
এই লড়াই পাশে থাকার বার্তাও দিলেন। বঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক খাড়াখাড়ি। কিন্তু ত্রিপুরাতে বিজেপির হাতে বারবার আক্রান্ত হওয়া তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরা সিপিএম। কারণ ২০১৮ ক্ষমতা দখলের পর উত্তর-পূর্বের এই ছোট রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে গেরুয়া শিবির।
এদিন এক সাক্ষাত্কারে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাম নেতা মানিক সরকার জানিয়েছেন, ‘হাতমুখ ভেঙে দেবেন এই মন্তব্য, হুমকির মধ্যেও যাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন তাঁদের আমি কুর্নিশ জানাই। সাহস আছে। মাথানত করছেন না। আর যিনি এই হুমকি দিচ্ছেন সেটা তাঁর দুর্বলতা।
ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। জনবিচ্ছিন্নতায় ভুগছেন। হয়তো আগেরবার ওরা ভাল ফল করতে পারেনি। কিন্তু তা বলে কখনও বাধাপ্রাপ্ত হয়নি।’ আর এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের মানিকের পাশে থাকার বার্তা ২০২৩ চিন্তা বাড়াল বিপ্লবের মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজনীতির আঙিনায় বাম শিবিরের নেতা হলেও মমতার বিরোধিতা করতে খুব একটা দেখা যায়নি মানিক সরকারকে। বরঞ্চ ২১ এর নির্বাচনে ত্রিপুরা জয়ের জন্য মানিক সরকারকেই সামনে রেখে লড়াই-এর ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সিপিএমের তরফে ঘাসফুলের সঙ্গে জোটের রাস্তা বন্ধ রাখা হলেও মানিক প্রীতি তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাতের সম্ভাবনা ওড়াচ্ছে না বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আরো পড়ুন : ‘লেডি তালিবান’ মমতা সায়ন্তনের এই মন্তব্য নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেত্রী লকেট?
‘শত্রুর শত্রু বন্ধু’ এই প্রবাদেই শুধুমাত্র বিজেপিকে রাজ্য ছাড়া করতে ২০২৩ মানিক জোটে যেতেই পারে তৃণমূল। এদিকে ত্রিপুরাতে অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল পা রাখতেই যোগদানের মেলা বসেছে। খুব শীঘ্রই তৃণমূলে আসবেন ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকার। এছাড়াও বাম ছাত্র কিংবা যুব স্তরের নেতারা, বিভিন্ন পেশার মানুষ, কংগ্রেস ও বিজেপি ভেঙে বহরে ত্রিপুরায় বাড়ছে তৃণমূল। তাই চিন্তা বাড়ছে বিপ্লবের।
সূত্র : এই মুহুর্তে