কলকাতা

কলকাতায় অলি-গলিতে লুকিয়ে ‘জামতারা গ্যাং’, মোবাইল-সিম সহ ১৬ জনকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ

কলকাতায় অলি-গলিতে লুকিয়ে ‘জামতারা গ্যাং’, মোবাইল-সিম সহ ১৬ জনকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ - West Bengal News 24

কিছুদিন আগেই আসানসোল থেকে কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের চার সদস্যকে ধরা হয়েছিল। ধৃতরা ছিল সকলেই বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশের অনুমান, জামতাড়া, গিরিডি, ধানবাদ থেকে প্রতারকদের একটা বড় দল কলকাতা শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যাঙ্ক লুঠ, এটিএম জালিয়াতি, প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে এরা জড়িত। এই দলকে খুঁজতে গত কয়েকদিন ধরে শহরজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গোয়েন্দা অফিসাররা।

১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা বিহার, ঝাড়খণ্ডের নানা জায়গা থেকে কলকাতা ও তার আশপাশে ঘাঁটি গেঁড়েছিল। বড়সড় প্রতারণার ছক কষছিল বলেই অনুমান। ধৃতদের কাছ থেকে জাল এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ সহ নানা জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। কী ধরনের প্রতাণার অভিসন্ধি ছিল তাদের তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দিনকয়েক আগেই কলকাতায় এক প্রৌঢ়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

আরো পড়ুন : ‘মুকুলকে অসুস্থ সাজিয়ে রাখা হয়েছে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

ভুয়ো ফোন কলে প্রৌঢ়ের থেকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জেনে নিয়েছিল অপরাধীরা। চণ্ডীদাস মল্লিক নামে সেই ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ করে জানান, ভুয়ো ফোনে তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে বাধ্য করে একজন। হুমকি দিয়ে তাঁকে বলা হয়, অ্যাকাউন্ট ডিটেলস না দিলে তাঁর এটিএম কার্ড ব্লক করে দেওয়া হবে। তারপরেই তড়িঘড়ি তিনি সব বলে দিলে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা লোপাট হয়ে যায়।

পুলিশ জানাচ্ছে, এমন ঘটনা গত একমাস ধরে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় হয়েছে। তখনই সন্দেহ হয় এর পেছনে কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের হাত থাকতে পারে। গত বছরও জামতাড়া গ্যাংয়ের কবলে পড়ে কলকাতার কয়েকজন তাঁদের টাকাপয়সা খুইয়েছেন। এটিএম জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে। ধরপাকড়ও করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা বলছেন, প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে এই গ্যাংয়ের সদস্যরা এ রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় হানা দেয়। এই দলের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ চলছে।

সূত্র: দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য