কলকাতা

মধ্যরাতে শিক্ষকের শ্বশুরবাড়িতে হানা, মইদুলের গ্রেফতারি নিয়ে রাতভর চরম নাটকীয়তা

Moidul Islam : মধ্যরাতে শিক্ষকের শ্বশুরবাড়িতে হানা, মইদুলের গ্রেফতারি নিয়ে রাতভর চরম নাটকীয়তা - West Bengal News 24

শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের নেতা মইদুল ইসলামের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতভর নাটক চলল বেলেঘাটায়। যদিও ধরা দিতে নারাজ মইদুলকে সকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাঁর বাড়ির বাইরে পুলিশি প্রহরা রয়েছে। মইদুল জানিয়েছেন, পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় আজই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হবেন।

গত মাসেই বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ জন এসএসকে শিক্ষিকা। সেই ঘটনায় মইদুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের নেতা মইদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বিধাননগর উত্তর থানা এবং বেলেঘাটা থানার পুলিশের একটি যৌথ দল বেলেঘাটা চাউলপট্টি এলাকায় মইদুলের শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয়। সেই সময় সেখানেই ছিলেন ওই শিক্ষক নেতা।

মইদুলের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা- বারোটা নাগাদ তাঁর শ্বশুরবাড়ি ঘিরে ফেলে প্রচুর পুলিশ। যদিও বাড়ির গেট বন্ধ থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারি নিয়ে শিক্ষক নেতার সঙ্গে পুলিশের তীব্র বাদানুূবাদ শুরু হয়। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, মইদুলকে গ্রেফতারির জন্য প্রয়োজনীয় নথি রয়েছে তাদের কাছে। যদিও সেই দাবি মানতে চাননি মইদুল। তাঁর অভিযোগ, ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছে।

আরও পড়ুন : সাতসকালে হুলস্থূল, নিমতলা ঘাট স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন! ঘিঞ্জি এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক

পুলিশের তরফ থেকে বার বার মইদুলকে বাড়ির বাইরে আসতে বলা হলেও তিনি রাজি হননি। শিক্ষক নেতা পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, সারাদিন কেন পুলিশ এলো না? সকালের আগে তিনি ধরা দেবেন না বলেও জানিয়ে দেন মইদুল ইসলাম।

মইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো চুরি ডাকাতি করিনমি, সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। তখন কেন পুলিশ গ্রেফতার করতে এলো না? আমি কি চুরি করেছি না আমরা তালিবান জঙ্গি যে রাত বারোটার সময় পুলিশকে গ্রেফতার করতে আসতে হবে? আমি তো একজন শিক্ষক। আমার শ্বশুর, শাশুড়ি, স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এই বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে আমি আইনি পদক্ষেপ করব।’ পাল্টা পুলিশ আধিকারিকদের বলতে শোনা যায়, ‘আপনার আচরণ একজন মাস্টারমশাইয়ের মতো নয়।’

মইদুলের দাবি, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষিকাদের আত্মহত্যায় প্ররচোনা দেওয়ার ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। পুলিশের পাল্টা দাবি, আইন মেনেই তারা যা করার করছে। বরং মইদুলের স্ত্রীই বেলেঘাটা থানা ভাঙচুর করার, পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ পুলিশের।

আরও পড়ুন : মাঝরাতে বাঁশদ্রোণিতে শুটআউট, জখম যুবক ভরতি হাসপাতালে

রাতভর এই নাটকে স্থানীয় বাসিন্দারাও জড়ো হয়ে যান। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়। যদিও জোর করে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেনি পুলিশ। সকালেও মইদুলের বাড়ির বাইরে পুলিশি প্রহরা রয়েছে। সকালবেলাও পুলিশের কাছে ধরা দেননি মইদুল। তিনি শ্বশুরবাড়ির ভিতরেই রয়েছেন। মইদুল জানিয়েছেন, আজই তাঁরা পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।

সূত্র: নিউজ ১৮

আরও পড়ুন ::

Back to top button