বুধবার দুপুর বেলা যখন কলকাতায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে, তখনও ঠিক ছিল না বিকেলে একবালপুরে দিদির সভা হবে কি না। কিন্তু সভা হল। আর সেই সভা থেকে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বললেন, ‘এই ভোটে আপনাদের একটা ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমি না জিতলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবে।
তাহলে সিএএ-এর বিরুদ্ধে লড়বে কে? এনআরসি-র বিরুদ্ধে লড়বে কে?’ ভবানীপুরের নির্বাচন ঘোষণার পরে তৃণমূলের একাংশের নেতা বলতে শুরু করেছিলেন, এই ভোট নামকা ওয়াস্তে। ঘরের মাঠে খেলা হবে আর দিদি বলে বলে গোল দেবেন। কিন্তু চেতলায় প্রথম কর্মিসভা থেকেই মমতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এই লড়াইকে কোনও ভাবেই হালকা করে নেবেন না। ঘরে ঘরে যান। প্রচার করুন।
আরও পড়ুন : ‘রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্তরা যেভাবে আমাকে কাজে লাগাবে, আমি আমি থাকব’: দিলীপ ঘোষ
আর শুনুন, একদম মাথা গরম করবেন না। ঠান্ডা মাথায় সবটা করুন। বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করে ভবানীপুরে সমস্ত শক্তি ঢেলে দিতে চেয়েছে। দু’দিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে বলেছিলেন, রাজ্যসভার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দেবে না। কারণ ফলাফল সবার জানা। পরাজিত মুখ্যমন্ত্রীকে ফের একবার ভবানীপুরে হারানোর জন্য মনোনিবেশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
বিজেপি যে নানান কৌশল নিচ্ছে তা দেখা যাচ্ছে। ভবানীপুরে যেহেতু বড় অংশের শিখ ভোটার রয়েছেন, এদিন সেখানে প্রচারে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বুধবার প্রচার করেন দিদির পাড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় তাঁর। তবে এদিনের মমতার মুখে ‘আমি না জিতলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবে’ শুনে বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, দিদি ভয় পেয়েছেন। এক সপ্তাহ আগেও ওঁর দলের নেতারা বলছিলেন, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের জামানত থাকবে না। আজ নিজেই বুঝিয়ে দিলেন, টেনশনে রয়েছেন।
সূত্র: দ্য ওয়াল