দৈনিক সংক্রমণ ১০০০ ছুঁই ছুঁই, কলকাতার ৫টি ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা পুরসভার
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে হঠাত্ করে বেড়ে গিয়েছে রাজ্যে। দুর্গাপুজোর পর থেকেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একাধিক জেলায় নতুন করে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে আবার কলকাতা শহরেও কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। ৫টি ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। আগেই রাজপুর সোনারপুর এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রাজ্যে করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ হাজোরর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
দুর্গাপুজোয় করোনা বিধি শিথিল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাইট কার্ফুর কোনওকড়াকড়ি ছিল না। রাতেই ঠাকুর দেখেছেন বঙ্গবাসী। তার উপরে বুর্জ খলিফা মণ্ডপের উপচে পড়া ভিড়। শয়ে শয়ে দর্শনার্থী ভিড় করেছেন দুর্গামণ্ডপগুলিতে। বেশি বিতর্ক যদিও তৈরি হয়েছিল শ্রীভূমিকে কেন্দ্র করে। সেই ভিড় যে করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলেছে তার প্রমাণ আসতে শুরু করে দিয়েছে।
দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্যের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। কলকাতাতে আবার দুটি ডোজের করোনা টিকা নেওয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি। উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যাও ভাবিয়ে তুলেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে।
তারপরেই ধাপে ধাপে জেলায় জেলায় কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা শুরু হয়। হাওড়া হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া দুই ২৪ পরগনা জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়। সোনারপুর-রাজপুর এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের দৈনিক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিলে তত্পর হয় কলকাতা পুরসভা। কলকাতা শহরের ৫টি ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরে এই প্রথম কলকাতা পুরসভা এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ৯৭, ১০০, ১০৯, ১১০, ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। কন্টেনমেন্ট জোনের পাশাপাশি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। নতন করে শহরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করল ইডি
করোনা সংক্রমণ ভয়ানক আকার নিয়েছে সোনারপুর রাজপুর পুর এলাকায়। পুর এলাকা সংলগ্ন ১, ৬, ২৯, ৩১, ৩২, ১১, ১২, ১৫, ১৬, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এবার এই রাজপুর সোনারপুর সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডের সীমানা এলাকাগুলিকেও কনটেনমেন্ট জো়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
সামনেই আবার আসছে দীপাবলি-কালীপুজোর উত্সব। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করোনা বিধি বহাল রেখেছে। উত্সবের মরশুমে যাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে না যায় সেকারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই দেশে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের নতুন স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। থার্ড ওয়েভের আশঙ্কায় আগে থেকেই সাবধানতা নিতে শুরু করেছে মোদী সরকার।
সুত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া