রাজ্য

কালীপুজো ও ছটপুজোর সময় রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড়

কালীপুজো ও ছটপুজোর সময় রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড় - West Bengal News 24

উত্‍সবের মরসুমে আবারও রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ (Night Curfew) তুলে নেওয়া হচ্ছে। পুজোর পরে করোনা সংক্রমণ অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় রাতের নিয়ম ফের কড়া করার কথা বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কিন্তু সামনেই কালীপুজো, দিওয়ালি। তার পরেই ছট পুজো। উত্‍সবের এই বিশেষ দিনগুলিতে রাতের নিয়ম লঘু করার কথাই জানিয়েছে নবান্ন। শুক্রবার নবান্নের (Nabanna) তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে বিধিনিষেধ জারি করেছিল নবান্ন তার মেয়াদ ফুরোচ্ছে ৩০ অক্টোবর। নবান্নের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল যে সব করোনা বিধিনিষেধ রাজ্যে চালু রয়েছে তেমনটাই চলবে গোটা অক্টোবর মাসেও। মাঝে দুর্গাপুজোর দিনগুলোতে রাতের বিধিনিষেধে ছাড় পাওয়া গিয়েছিল। তারপর ফের রাতের সময় নিয়ম ভাঙলে ধরপাকড় করছিল পুলিশ। শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলিতে টহলদারি চলছিল।

আরও পড়ুন : করোনাকালে কীভাবে স্কুল-কলেজে ক্লাস? গাইডলাইন প্রকাশ শিক্ষা দফতরের

এদিন নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, কালীপুজো ও দিওয়ালি উপলক্ষ্যে আগামী ২ থেকে ৫ নভেম্বর রাত্রীকালীন বিধি থাকবে না। ছট পুজোয় ১০ ও ১১ নভেম্বরও রাতের সময় কোনও কড়াকড়ি থাকবে না। নিয়ম শিথিল হলেও রাত ১১টার পর থেকে ভোর ৫টা অবধি যান চলাচল ও রাস্তায় মানুষজনের বেরনো নিয়ে যে বিধিনিষেধ ছিল তা থাকছেই। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাস্ক বাধ্যতামূলক।

সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মানতেই হবে, ভিড়-জমায়েত করা চলবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সকলকেই। অক্টোবর মাসে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এদিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকেই চালু হবে লোকাল ট্রেন।

সিনেমা হল, থিয়েটার, শপিং মল, অডিটোরিয়াম, স্টেডিয়াম, রেস্তোরাঁ, স্পা, জিমও খুলবে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে। কোচিন সেন্টারও খোলা যাবে ৩০ তারিখের পর থেকেই। তবে এক একটি ক্লাসে ৭০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি থাকা চলবে না। সবই খোলা থাকবে রাত ১১টা অবধি।

সুত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button