সিনেপ্লেক্সে ভিন্ন স্বাদের দুই হলিউড ছবি
একই দিনে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে রেসিডেন্ট এভিল সিরিজের নতুন ছবি ‘রেসিডেন্ট এভিল : ওয়েলকাম টু রেক্কুন সিটি’ ও ডিজনির অ্যানিমেশন ছবি ‘এনচান্টো’। শুক্রবার থেকে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স চেইনে ছবিগুলো দেখবে দর্শক।
ভিডিও গেম থেকে নির্মিত মুভি সিরিজের মধ্যে সবচেয়ে ব্যবসাসফল ‘রেসিডেন্ট এভিল’। এই সিরিজের মোট ছয়টি ছবি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ডলার, আয় হয়েছে সাড়ে ৯১ কোটি ডলারেরও বেশি।
২০১৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল সিরিজের সর্বশেষ ছবি ‘রেসিডেন্ট এভিল : দ্য ফাইনাল চ্যাপটার’। জাপানি ভিডিও গেম প্রডাকশন হাউস ক্যাপকমের জনপ্রিয় ভিডিও গেম সিরিজ অবলম্বনে ১৫ বছর আগে এই সিরিজ শুরু হয় হলিউডে। ২০০২ সালে মুক্তি পায় সিরিজের প্রথম ছবি।
মানব সম্প্রদায়কে রক্ষার এক কঠিন মিশনে অ্যালিসের একক সংগ্রামই ছবির মূল গল্প। সিরিজের প্রতিটি ছবিতে অ্যালিস চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিলা জোভোভিচ।
এবারের ছবির কাহিনি রেক্কুন সিটিকে ঘিরেই। রেক্কুন সিটি এমন একটি জায়গা, যেখানে মৃতদেহ প্রতিটি কোণে ঘুরে বেড়ায়। তবে সবচেয়ে বড় হুমকি সাবেক বিজ্ঞানী উইলিয়াম বারকিনের কাছ থেকে উদ্ভূত হয়, যিনি ক্রমবর্ধমানভাবে একটি অদম্য দানব হয়ে উঠছেন। পুলিশ অফিসার লিওন এবং ক্লেয়ার নিখোঁজ হলে ভাই ক্রিস তাদের সন্ধান করেন। সর্বনাশ থেকে বেঁচে থাকা এবং নিজেকে জীবিত মৃতদের শহর থেকে বের করে আনার আগে তারাও জম্বিতে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: স্পেনের সৈকতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা
এ দিকে অ্যানিমেশন ছবির দুনিয়ায় অনন্য এক নাম ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স। এ যাবৎ বহুসংখ্যক সফল ছবি উপহার দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যার মধ্যে স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস, ফ্যান্টাসিয়া, ১০১ ডালমেশিয়ানস, দ্য লায়ন কিং, দ্য লিটল মারমেইড, আলাদিন, মুলান, ট্যাঙ্গেলড, ফ্রোজেন ছবিগুলো রীতিমতো বিখ্যাত।
‘এনচান্টো’-তে পাহাড়ে বসবাসরত এক পরিবারের গল্প দেখানো হয়েছে। একটি শিশু ছাড়া প্রত্যেক শিশুরই কোনো না কোনো বিশেষ ক্ষমতা আছে। মিরাবেল নামের সেই বিশেষ ক্ষমতাহীন শিশুটিই এক বিপদ থেকে রক্ষা করে পুরো পরিবারকে। শত্রুদের হাত থেকে রেহাই পেতে পালানোর সময়, আলমা আবুয়েলা মাদ্রিগাল তার স্বামী পেদ্রোকে হারান।
তবে তার তিন সন্তান জুলিয়েটা, পেপা এবং ব্রুনোকে উদ্ধার করতে সক্ষম। একটি অলৌকিক ঘটনার কারণে আবুয়েলার হাতে থাকা মোমবাতি বিশেষ ক্ষমতা পায় এবং পাহাড়ের পাদদেশের ছোট্ট গ্রামটিকে রক্ষা করে।
নতুন বাড়িতে ওঠে আবুয়েলা। এর পর থেকে বদলে যেতে থাকে তার পরিবার। তার ছেলে ব্রুনো ভবিষ্যৎ দেখার বিশেষ ক্ষমতা পায় আর অ্যান্টোনিও প্রাণীদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা পায়। এই পরিবারকে ঘিরেই সিনেমাটির কাহিনি আবর্তিত হয়।