বিচিত্রতা

সাতাত্তরের বৃদ্ধের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ২০ বছরের তরুণী, শীঘ্রই করবেন বিয়েও!

সাতাত্তরের বৃদ্ধের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ২০ বছরের তরুণী, শীঘ্রই করবেন বিয়েও! - West Bengal News 24

প্রেম বোঝে না বয়স। মানে না জাতপাতের বেড়াজাল। তাই তো যে কোনও সময় যে কোনও মানুষের প্রেমে পড়া যায় অনায়াসেই। তেমনই এক ঘটনার কথা ফের উঠে এল শিরোনামে। ২০ বছরের তরুণী ভালবেসে ফেললেন ৭৭ বছরের বৃদ্ধকে। তাঁর প্রেমে তরুণী এতটাই হাবুডুবু, যে তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ের কথা ভাবতেই পারছেন না! ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’ বলে উড়ে আসবে কটাক্ষ? আসুক না! কুছ পরোয়া নেহি।

এ প্রেমের গল্প ৭৭ বছরের পেনশন ভোগী ডেভিড এবং কলেজ ছাত্রী জোয়ের। এ জুটির ভালবাসা যেন হার মানায় হিন্দি ছবির চিত্রনাট্যকেও। গত ১৮ মাস ধরে জমে উঠেছে তাঁদের প্রেম। এবার সেই প্রেমকে পরিণয়ে পালটে ফেলতে চান উভয়েই। শুনে আরও অবাক লাগবে যে এই কাপল কিন্তু এখনও পর্যন্ত একে অপরকে সামনে থেকে দেখার সুযোগই পাননি।

আরও পড়ুন : সেলুনে দাড়ি ট্রিম করাল বানর, ভিডিও ভাইরাল

কারণ গীতিকার ডেভিড থাকেন ইংল্যান্ডে। আর লেখাপড়ার জন্য প্রেমিকের থেকে ৫০০০ মাইল দূরে মায়ানমারে থাকতে হয় জোকে। নানা ইস্যুতে সর্বদাই উত্তপ্ত মায়ানমারের পরিবেশ। তাই ইচ্ছা করলেও জোয়ের সঙ্গে দেখা করতে সে দেশে ছুটে যেতে পারেন না ডেভিড। তবে শারীরিক দূরত্ব মনের টানে ভাটা ফেলতে পারেনি। ভিডিও কলেই পরস্পরের মধ্যে বেড়েছে ঘনিষ্ঠতা।

তাহলে কীভাবে দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠল প্রেমের সম্পর্ক? আসলে বছর দেড়েক আগে একটি অনলাইন ডেটিং সাইটে দেখা হয়েছিল তাঁদের। মূলত পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্য়ের খোঁজেই জো ঢুঁ মেরেছিলেন সেই সাইটে। সেখানেই পরিচয় হয় ডেভিডের সঙ্গে। মহিলাদের সঙ্গে গল্পের জন্য ডেভিড ছিলেন অনলাইন সাইটটিতে। কিন্তু এভাবে যে ২০ বছরের জোয়ের প্রেমে পড়ে যাবেন, ভাবতেও পারেননি। ডেভিডের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ভাল লেগে যায় জোয়েরও। তারপরই জমে ওঠে প্রেম।

জোয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিন গুনছেন ডেভিড। তরুণী জানাচ্ছেন, মায়ানমার থেকে ব্রিটেন যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করেছেন তিনি। পাসপোর্ট ও ভিসা হাতে পেলেই পৌঁছে যাবেন নিজের প্রেমিকের কাছে। আর তারপরই চারহাত এক হবে। পরিবার, সমাজের কটূক্তি উপেক্ষা করেই নতুন জীবন শুরু করতে চান তাঁরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য