রাজ্য

বাংলায় ভোটের পর সহিংসতা কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই রিপোর্ট!

বাংলায় ভোটের পর সহিংসতা কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই রিপোর্ট! - West Bengal News 24

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর প্রায় ৮-৯ মাস কেটে গেছে। বিধানসভা নির্বাচনে হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধী দলগুলো। বাংলা সরকারকে বারবার ভোট-পরবর্তী সহিংসতার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে, তবে রাজ্য এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ভোট-পরবর্তী সহিংসতার মামলার শুনানির সময় পশ্চিমবঙ্গের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন যে ভোট-পরবর্তী সহিংসতায় গৃহহীনদের সম্পর্কে রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভুয়া।

নির্বাচনের পর সহিংসতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই এবং এসআইটি। এতে পুরো মামলার তথ্য দেওয়া হয়েছে। সিবিআই তাদের রিপোর্টে বলেছে যে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় মোট ১৯৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেছেন, এ দিন যারা উচ্ছেদ করবেন তাদের হলফনামা দেওয়া হবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) এদিন আদালতকে জানায়, তাদের হাতে থাকা প্রায় সব মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে।

গৃহহীনদের বিষয়ে হলফনামা জমা দেবে বাংলার সরকার অ্যাডভোকেট প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়াল দাবি করেছেন যে শতাধিক মানুষ এখনও ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। তিনি গৃহহীনদের ঘরে ফেরার দাবি জানান। তবে এজি জানিয়েছেন, রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২৪৩ জনের নাম ছিল।

আরও পড়ুন: এবার বিজেপি ছাড়লেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত

এর মধ্যে দুইবার অভিযোগ করেছেন ৯ জন। ১১৭ ফিরে এসেছে। ভুল মোবাইল নম্বর দেওয়ায় ২২ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।৮৬ ফিরে যেতে চান না। একজনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে পড়াশোনার জন্য বাইরে। তারা অন্য কোথাও বসবাস করছে।এই তালিকাটি ভুয়া। তবে, প্রিয়াঙ্কা মেনে নিতে চাননি যে তার বক্তব্য সবাইকে আদালতে আনার নির্দেশ দেওয়া উচিত্‍। প্রধান বিচারপতি উচ্ছেদকারীদের হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

নির্বাচনের পর সহিংসতায় ১৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এদিন রিপোর্ট জমা দিয়েছে এসআইটি। তাদের ৬৮৯টি মামলার মধ্যে ১২টি বাকি রয়েছে। সব বিষয় শেষ। নতুন দুটি মামলা সিবিআই-এর কাছে বিচারাধীন। মোট ৩২৩টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু একই নামের অনেকগুলো থাকায় মোট অভিযোগের সংখ্যা ২৯০।

জিডি করার পর প্রায় ১৩০টি মামলা রয়েছে। ১০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে। ৭২টি মামলার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। ৮ তদন্তাধীন। ২৩ জনকে সিবিআই-এ পাঠানো হয়েছে। সিবিআই অনুসারে ৫১টি মামলা ছিল। এনএইচআরসি ৪৮টি মামলা দিয়েছে। আরও তিনটি মামলা ছিল। ২০টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ২৬ জনের তদন্ত চলছে কিন্তু চার্জশিট দেওয়া হয়নি। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৯৩ জন অভিযুক্তকে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button