রাজনীতিরাজ্য

দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে বিক্ষোভের মুখে জনপ্রতিনিধিরা, কি সাফাই দিলেন মমতা

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Mamata Banerjee : দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে বিক্ষোভের মুখে জনপ্রতিনিধিরা, কি সাফাই দিলেন মমতা - West Bengal News 24

রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি। দিদির দূত হিসাবে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা। তবে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আমজনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন দিদির দূতরা। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

ঠিক কি জানিয়েছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো ? ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ যে তাঁরই প্রকল্প , তাও জানিয়েছেন মমতা। বলেছেন , ‘‘সমস্যা থাকলে নিশ্চয়ই বলবেন। কিন্তু কুৎসায় কান দেবেন না।’’ মমতা (Mamata Banerjee) বলতে চেয়েছেন, অনেকে ওই কর্মসূচি নিয়ে ‘কুৎসা’ও করছেন। তবে একই সঙ্গে দুর্নীতি প্রসঙ্গেও দলের (Trinamool Congress) নেতা-কর্মীদের প্রতি বার্তা দিয়েছেন নেত্রী। বলেছেন, ‘‘লোভ করবেন না।’’ আরও বলেছেন, ‘‘এক-দু’জন খারাপ। সবাই নয়। কেউ ভুল করে থাকলে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন। কেউ কারও কাছ থেকে কিছু নিয়ে থাকলে তাঁকে তা ফিরিয়ে দিন।’’

পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে রাজ্যের দশ কোটি মানুষের সমস্যার কথা জানতেই নজরুল মঞ্চ (Najrul Manch) থেকে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । ঠিক কি কি পদ্ধতিতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবেন দিদির দূতরা সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্লু প্রিন্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।

মন্ত্রী থেকে শুরু করে কাউন্সিলার , বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ – দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে দিদির দূত হিসাবে পদ নির্বিশেষে ময়দানে নামতে হয়েছে সকলকেই। আর এখানেই শুরু হয়েছে যাবতীয় গোলমাল। শতাব্দী রায় থেকে শুরু করে লাভলী মৈত্র জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে শুরু করে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় , তালিকায় রয়েছেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে (Rathin Ghosh) অভিযোগ জানাতে গিয়ে তৃণমূলের এক কর্মীর কাছে চড় খেতে হয় স্থানীয় এক বাসিন্দাকে। ঘটনাচক্রে, তিনি এলাকার স্থানীয় বিজেপির (BJP) মণ্ডলের নেতা। এ নিয়ে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।

সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘির সভায় এক কর্মসূচিতে অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘এটা আমার প্রকল্প। আপনার সমস্যা থাকলে নিশ্চয়ই বলবেন। সমস্যা তো থাকেই। তবে কারও কথা শুনে কুৎসা-অপপ্রচারে কান দেবেন না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট , ১১ বছর তাঁর দল সরকার চালানোর পরেও এ রাজ্যে সাধারণ মানুষের সমস্যা রয়েছে। তবে পাশাপাশিই তিনি বলেছেন, এই কর্মসূচি নিয়ে ‘কুৎসা-অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে।

গরুপাচার থেকে শুরু করে আবাস যোজনায় দুর্নীতি , কয়লা পাচার থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্রে ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগ – লোকসভা নির্বাচন তো বটে , রাজ্যের আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে বেশ বেকায়দায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। যদিও কিছু ক্ষেত্রে ওই প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে বিরোধী বিজেপির যোগাযোগও মিলেছে। তবে আসন্ন নির্বাচনের আগে সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে রাজ্য সরকারকে (State Government) চেপে ধরতে এক মুহূর্ত দেরি করছে না বিরোধী শিবির।

আরও পড়ুন ::

Back to top button