রাজ্য

হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে আবর্জনা থেকে উদ্ধার ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Haimanti Ganguly : হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে আবর্জনা থেকে উদ্ধার ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা - West Bengal News 24

২০১৪ টেট পাশ করা নট ইনক্লুডড চাকরিপ্রার্থীর তালিকা! তার মধ্যে পাঁচ জন চাকরি প্রার্থীর নাম, রোল ও আইডি নম্বর সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। অবাক করার বিষয়, এই নথিপত্রের সবটাই পড়েছিল হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) ফ্ল্যাটের সামনে থাকা আবর্জনা থেকে।

শুধু তাই নয় , হৈমন্তী-গোপালের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া ছেঁড়া কাগজে লেখা ছিল মিঠুন মাইতি নামে এক ব্যক্তির নাম। মিঠুন (Mithun Maity) ২০১৪ টেট পাশ করে ছিলেন। দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছিলেন। মিঠুন মাইতি নামের ওই ব্যক্তি হুগলির বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি প্যারা টিচার হিসাবে কাজ করেন। কোনও স্থায়ী চাকরি নেই। হৈমন্তী-গোপালের ফ্ল্যাটে নট নন ইনক্লুডড চাকরিপ্রার্থীর তালিকায় লেখা রয়েছে এই মিঠুন মাইতির ফোন নম্বর।

মিঠুন (Mithun Maity) অবশ্য জানিয়েছেন, আরমান গাঙ্গুলি বা গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati) নামের কাউকেই তিনি চেনেন না। তাঁর অর্থ সামর্থ্যও তেমন নয় যে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি কিনতে পারেন। তাহলে প্রশ্ন, মিঠুন মাইতির নথিপত্র, ফোন নম্বর কী ভাবে পৌঁছেছিল গোপালদের কাছে ? গোটা বিষয়টা নিয়েই অবশ্য চূড়ান্ত অবাক ওই চাকরিপ্রার্থী।

এখন প্রশ্ন, তাহলে কি মিঠুনের জায়গায় অন্য কেউ টাকা দিয়ে চাকরি করছেন ? গোপাল দলপতি এভাবেই চাকরি প্রাথীর্দের ফোন নম্বর জোগাড় করে রাখতেন। পরে তাঁদর ফোন করে টাকার বদলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। যদিও তাঁকে গোপাল কখনও ফোন করেননি বলেই দাবি মিঠুনের (Mithun Maity)।

এছাড়া, ২০১৪ টেট পাশ নন ইনক্লুডড চাকরি প্রার্থী নামের একটি তালিকা রয়েছে আবর্জনা থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রের মধ্যে। তাহলে কী এটা রেকমেন্ডেশন লিস্ট! কারণ , ওই লিস্টে থাকা কয়েকজনের চাকরি হয়েছে বলে দাবি , ২০১৪-এ টেট পাশ করে ধর্না মঞ্চে থাকা প্রতিনিধি অচিন্ত্য সামন্তর (Achinta Samanta)।

বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের টাকা গিয়েছে গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati) ও হৈমন্তী গাঙ্গুলির (Haimanti Ganguly) অ্যাকাউন্টে। এমনই অভিযোগ করেছিলেন টেট দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। যদিও গোপাল দলপতি এবং হৈমন্তীর মা দুজনেই সেই কথা অস্বীকার করেছেন। কুন্তলের (Kuntal Ghosh) অভিযোগের সত্যাসত্য তদন্ত করে দেখছে সিবিআই (CBI)।

আরও পড়ুন ::

Back to top button