রামায়নের লঙ্কা পুরীর মতোই, বাস্তবের দুবরাজপুরে; হনুমান তান্ডবে নাভিশ্বাস গ্ৰামবাসী থেকে প্রশাসন
দীপন চ্যাটার্জী
রামায়নে হনুমান তান্ডব চালিয়েছিল,রাবনের লঙ্কা পুরীর উপর। সে ছিল এক অন্য ঘটনা ।কিন্তু এবার বাস্তবেই হনুমানের তান্ডবে নাভিশ্বাস বীরভূমের মানুষজন।বাড়ি থেকে বের হলেই গ্রামের বাসিন্দাদের লাঠি নিয়ে বের হতে হচ্ছে। হাতে এই লাঠি না থাকলেই মুশকিলে পড়তে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। রীতিমত খুব আশঙ্কার মধ্যেই দিন কাটছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত পন্ডিতপুর এবং হালসোত গ্রামের বাসিন্দাদের।
হনুমানের তাণ্ডবে বন্ধ স্কুল, বাগে আনতে শুটার তলব।হনুমানের কামড়ে আহত ১২-১৩ জন গ্রামবাসী। যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এমনকি হনুমানের আতঙ্কে বন্ধ প্রাথমিক স্কুল ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। দুবরাজপুরের পন্ডিতপুর ও হালসোত গ্রামের ঘটনা। হনুমানের হাত থেকে রেহাই পেতে লাঠি হাতে গ্রামে পাহারা গ্রামবাসীদের। এমনকি গ্রামে রয়েছেন বন দফতরকর্মী ও দুবরাজপুর থানার পুলিস।
গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিসের তরফে শুটার আনা হয়েছে কিন্তু তাতেও কোনও লাভ।শিক্ষক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘দোল উৎসবের জন্য দুইদিন স্কুল বন্ধ ছিল। তারপরই শুনি হনুমানের এই উৎপাতে জখম হয়েছে বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রী। এমনকি সিউড়ি থেকে বর্ধমান হাসপাতালেও রেফার করা হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীরা আমার কাছে অনুরোধ করে যাতে এদিন স্কুলটা বন্ধ রাখা হয়। স্কুলের তরফ থেকে এস.আই.কে সমস্যাটি জানানো হয়, তিনি স্কুলটি বন্ধ রাখার অনুমতি দেন।’
দুবরাজপুরের রেঞ্জার কেশব চক্রবর্তী জানান , ওই হনুমানটিকে ধরার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি আয়ত্তে চলে আসবে। বি.ডি.ও রাজা আদক বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা যাতে না বাড়ে তার জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি হনুমানটি ধরা পড়বে এবং সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।