রাজ্য

‘রেট’ অনুযায়ী টাকা দিলে চাকরি ছিল বাঁধা, চাকরি ‘বিক্রি’র ‘রেট চার্ট’ ছিল অয়ন শীলের

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Recruitment Scam Ayan Seal: ‘রেট’ অনুযায়ী টাকা দিলে চাকরি ছিল বাঁধা, চাকরি ‘বিক্রি’র ‘রেট চার্ট’ ছিল অয়ন শীলের - West Bengal News 24

‘রেট’ অনুযায়ী টাকা দিলে চাকরি ছিল বাঁধা। টাকা নিলে কাজ হতই— সে চাকরিপ্রার্থী উত্তরের খাতায় যা-ই লিখে আসুন না কেন। যথাসময়ে ঠিক বদলে যেত খাতা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে এমনই তথ্য।

ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে জানা গিয়েছে , অয়ন (Ayan Sil) ওই পুরসভাগুলিতে বিভিন্ন পদে চাকরি বিক্রি করতেন। শ্রমিক, কেরানি, গাড়িচালক, গ্রুপ-সি— এক একটি পদের চাকরির ‘মূল্য’ এক এক রকম। তবে ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা। সর্বোচ্চ ৭-৮ লক্ষ টাকা। অবশ্য প্রার্থীর চাহিদা, আর্থিক অবস্থা দেখে মাঝে মধ্যে বদলেও যেত দর। তবে ৪ লক্ষের নীচে নামত না।

শ্রমিকের চাকরির জন্য ৪ লক্ষ টাকা নিতেন অয়ন (Ayan Sil) । কেরানি হলে ৫ লক্ষ, গাড়িচালকের পদের জন্য ৪ লক্ষ টাকা আর গ্রুপ-সি-র জন্য নেওয়া হত ৭-৮ লক্ষ টাকা। ইডির (Enforcement Directorate) ওই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওএমআর শিট বিকৃত করা ছিল অয়নের ‘বাঁ হাতের খেলা’!

এ জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিও ব্যবহার করতেন তিনি। চাকরিপ্রার্থীদের শুধু টাকা দিয়ে দিতে হত। আর বসতে হত পরীক্ষায়। ইডির ওই সূত্রের দাবি, এর পর পরীক্ষার খাতা চাকরি পাওয়ার যোগ্য করে তুলতেন অয়ন। কখনও নকল ওএমআর শিট বানিয়ে, কখনও বা উত্তরপত্র সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে।

হুগলির প্রোমাটার অয়নের (Ayan Sil) বিরুদ্ধে পুরসভার চাকরি ‘বিক্রি’র অভিযোগ এনেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বরাহনগর, কামারহাটি, পানিহাটি, উত্তর এবং দক্ষিণ দমদম সহ ৬০টি পুরসভার চাকরি ‘বিক্রি’ করছেন অয়ন। আর এই চাকরি ‘বিক্রি’ করা হয়েছে ২০১৪-২০১৫ সালে।

অয়নের (Ayan Sil) বাড়িতে প্রায় ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে রবিবার তাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি (Enforcement Directorate) । অয়নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে চাকরির পরীক্ষার একাধিক ওএমআর শিট এবং তার প্রতিলিপি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button