খুনের আগে শিশুটিকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহ, অলোকের রান্নাঘর থেকেই উদ্ধার শিশুর রক্তাক্ত দেহবন্দী বস্তা

তিলজলায় নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ পুলিশি জেরায় ধৃত যুবক স্বীকার করে নিল, খুনের আগে শিশুটিকে ধর্ষণ (Rape) এবং যৌন নিগ্রহ করে সে৷ ধৃতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগের পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা করেছে পুলিশ৷ আবাসনের ৩২টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলাকালীন আবাসনের তিন তলায় অলোক কুমারের ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশ৷

সেই সময় রান্না করছিল অলোক কুমার নামে অভিযুক্ত৷ রান্নাঘরের ভিতরেই একটি বস্তা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশ৷ বস্তা খোলার চেষ্টা করতেই বাধা দেয় অভিযুক্ত অলোক কুমার (Alok Kumar)৷ এতেই সন্দেহ দৃঢ় হয় পুলিশকর্মীদের (Police)৷ বস্তা খুলতেই শিশুটির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷

সূত্রের খবর , পুলিশি জেরায় ধৃত অলোক কুমার জানিয়েছে , প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে৷ তার পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে সে৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে৷ তবে নিশ্চিত হতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ৷ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা অলোক কুমারকে গতকাল গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তিলজলার (Tiljala) শ্রীধর রায় রোডের যে আবাসনে ওই নাবালিকা থাকত, অলোক সেই আবাসনেরই তিন তলায় থাকত৷

সাত বছরের ওই নাবালিকাকে খুনের এই ঘটনায় রবিবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তিলজলা৷ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে থানা ভাঙচুরের চেষ্টা করেন ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দারা৷ ভাঙচুর করা হয় থানা চত্বরে রাখা পুলিশের গাড়ি এবং বাইক৷ ছোড়া হয় ইট৷

শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ দীর্ঘক্ষণ মেয়ে না ফেরায় মেয়ের খোঁজ শুরু করেন বাবা-মা৷ খোঁজ না মেলায় রবিবার বেলা বারোটা নাগাদ তিলজলা থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার৷ যদিও শিশুটির বাবার অভিযোগ, বারবার অনুরোধ করলেও প্রথমে শিশুটির খোঁজে তৎপর হয়নি পুলিশ৷ এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ স্থানীয়দের অবশ্য দাবি , পুলিশ যাওয়ার আগে তাঁরাই শিশুটিকে অলোকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করেন৷