রাজ্য

পার্থ – অর্পিতা – মানিকের থেকে উদ্ধার কত কোটি টাকা? আদালতে ইডির হিসাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

পার্থ - অর্পিতা - মানিকের থেকে উদ্ধার কত কোটি টাকা? আদালতে ইডির হিসাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-মানিক ভট্টাচার্য তিনজনেই এখন জেলবন্দী। তবে ত্রয়ী সম্পত্তির রিপোর্ট কার্ড আদালতে পেশ করে নতুন জল্পনার উস্কে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ১১১ কোটি এখনও পর্যন্ত নগদ টাকা উদ্ধার এই তিনজনের থেকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে ইডি রিপোর্ট দিয়ে নতুন মোড় এনে দিয়েছে শুক্রবার।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এই রিপোর্ট দেখে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ,’একাংশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। আসছে কোথা থেকে ? এইসব নেতাদের ছুঁলেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে দেখুন বাজারে তাদের কত দেনা আছে। এই জন্যই কি স্বাধীনতা সংগ্রামীরা জীবন দিয়েছিলেন ? দুটো, চারটে, পাঁচটা ব্যবসা থাকলেই কেউ দেশের মালিক হয়ে যায় না। দেশের আসল মালিক তার জনগণ।’

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে আরও জানান, ‘সাধারন মানুষ ১০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য খেটে মরছে। আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের (Arpita Mukherjee) কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে ?’ পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ইডি দেওয়া বিস্ফোরক রিপোর্টে বলা হয়েছে , তদন্ত চলাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নগদ এবং পাঁচ কোটি আট হাজার টাকা মূল্যের সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে ৪৮ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে যা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ছিল।

তদন্তে জানা গিয়েছে , পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এই সম্পত্তি গুলির মালিক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সম্পত্তি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং কিছু অস্তিত্বহীন ব্যক্তির নামে কিনে রেখেছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) একাই প্রায় ২৯ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও সাত কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া যায় , যা মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর পরিবারের নামে ছিল বলে ইডি হাইকোর্টে দাবি করেছে।

অভিযোগ, বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা নিয়মিত প্রায় ২৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে প্রাথমিক নিয়োগকে ঘিরে দুর্নীতির কারণে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ও বিনিয়োগ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র নগদেই ১১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button