সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় পরিচালক এআর মুরুগাদোস। সেই প্রেক্ষিতেই ‘সিকন্দর’ বয়কটের ডাক দিলেন মুম্বইয়ের জনপ্রিয় মুসলিম সমাজকর্মী। তাঁর দাবি, সলমনের সিনেমা ‘সিকন্দর’ আদতে ‘ইসলামোফোবিক’। রিলিজের আগে সলমন খান বলেছিলেন, “কোনওরকম বিতর্ক চাই না এবার।” কিন্তু ভাইজানের সেই প্রত্যাশায় জল! টিজার-ট্রেলারে ঝড় তুলে দিলেও সিনেমা মুক্তির পরই পড়তে হল চরম বিপাকে।
মুম্বইয়ের সমাজকর্মী তথা পেশায় আইনজীবী শেখ ফয়াজ আলম ‘সিকন্দর’-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ডাক দিয়েছেন। তাঁর আর্জি, “‘সিকন্দর’ ছবিটি না দেখে বরং গাজার ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করুন। কিংবা মুসলিমদের শিক্ষা, আইন, রাজনীতিতে অর্থ বিনিয়োগ করুন।”
বিশ্বের বক্স অফিসে ১০০ কোটির গণ্ডি পেরলেও ভারতে মোটে ৭৫ কোটি টাকা আয় করতে পেরেছে সলমনের সিনেমা। সলমনের সিনেমা বয়কটের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শেখ ফয়াজ আলম বলেন, “এবার দেখার চিরাগ পাসওয়ান, নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতারা মুসলিম সম্প্রদায়কে সমর্থন করবেন নাকি মুখ ফিরিয়ে নেবেন।”
জানা গিয়েছে, দেশের বেশ কিছু শহরে চাহিদা না থাকায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সলমনের ছবির শো। বক্স অফিসের অঙ্ক দেখেও ভাইজান ভক্তদের একাংশ হতাশ হয়েছেন। কেউ কেউ আবার সোশাল মিডিয়ায় ‘হ্যাজ’ নামিয়ে কাতর আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, ‘ফিরে এসো সলমন ভাই।’ বিতর্কের জেরে হুড়মুড়িয়ে ৩২ শতাংশ শো কমেছে ‘সিকন্দর’-এর। ফ্লপ পিচ থেকে ব্লকবাস্টার উড়ান নিতে পারলেন না ভাইজান ? প্রশ্ন উঠেছে বিনোদুনিয়ায়।