পৃথিবী জুড়ে ধ্বংসের আশঙ্কা! রাশিয়ার কড়া বার্তা আমেরিকাকে, ট্রাম্প কি থামাবেন যুদ্ধের ঢাক?

ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপ করা থেকে আমেরিকাকে দূরে থাকার কড়া বার্তা দিল রাশিয়া। ক্রেমলিন জানিয়ে দিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি উদ্যোগে তারা পাশে থাকবে। এরপরেই রাশিয়ার তরফে সরাসরি হুঁশিয়ারি, ইরানের উপর লাগাতার আক্রমণ পরিস্থিতিকে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, যা গোটা বিশ্বের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই র‍্যাবকভ বুধবার বলেন, “ইজরায়েলকে সাহায্য করার বিষয়টি যেন চিন্তাও না করে আমেরিকা। কারণ আমেরিকা এমন সিদ্ধান্ত নিলে বর্তমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমরা ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে বলছি তারা যেন ইজরায়েলে সামরিক সাহায্য না পাঠায়।”

এরপর বৃহস্পতিবার আরও স্পষ্ট বার্তা এল রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার কাছ থেকে। তিনি বলেন, “আমরা ওয়াশিংটনকে বিশেষ করে সতর্ক করছি, তারা যেন কোনওরকমভাবেই যুদ্ধের পথে না হাঁটে। কারণ আমেরিকা যুদ্ধে জড়ালে সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে। কতখানি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আমেরিকা যুদ্ধে জড়ালে সেটা আন্দাজ করাও কঠিন।” তাঁর মতে, ইরানের পরমাণু প্রকল্পগুলিকে নিশানা করে যেভাবে হামলা চলছে, তাতে সারা বিশ্বই চরম সঙ্কটে পড়তে চলেছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ায় মস্কো সহযোগিতা চালিয়ে যাবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘তেহরান রাশিয়ার কাছে অন্য কোনও সামরিক সহায়তা চায়নি। তবে পরিস্থিতি শান্ত করতে চাইলে রাশিয়া মধ্যস্থতার ভূমিকা নিতে প্রস্তুত।’

এই প্রেক্ষিতেই মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইরান-ইজরায়েল সংঘাত চূড়ান্ত রূপ নেবে।’ তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের উদ্দেশে বলেন, “গুড লাক।” এমন পরিস্থিতিতে, আমেরিকার যুদ্ধোন্মাদ মনোভাবের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলল রাশিয়া। তবে কি এবার থামবে আমেরিকার আগ্রাসী অবস্থান?