ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যাওয়ায় সংখ্যা গরিষ্ঠ হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত বোর্ড
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকে ফের ধস নামল গেরুয়া শিবিরে। এক বিজেপি সদস্য তৃণমূলেন যোগ দেওয়ায় মলম গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যা গরিষ্ঠ হল তৃণমূল। যদিও ওই পঞ্চায়েতে আগে থেকেই ক্ষমতায় রয়েছে শাসকদল। শুক্রবার নয়াগ্রামের মলম অঞ্চলে বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্য সবিতা দোলাই আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
সবিতাদেবীর হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন নয়াগ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের দলনেতা উজ্জ্বল দত্ত। উপস্থিত ছিলেন নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু। কেন হঠাৎ বিজেপি ছাড়লেন? সবিতাদেবী জানালেন, বিজেপি-র নেতৃত্বের কাছ থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাচ্ছিলাম না। মানুষের কাজ করতে পারছিলাম না। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’ সবিতাদেবীর সঙ্গে তাঁর স্বামী এবং কিছু বিজেপি কর্মীও এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি-র ভ্রান্ত নীতির কারণে ওদের দল ছেড়ে অনেকেই তৃণমূলে চলে এসেছেন। এর আগে নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির দু’জন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তাঁদের একজন আবার পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা ছিলেন।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মলম অঞ্চলটি বরাবরই বিজেপি-র শক্ত ঘাটি ছিল। তবে গত পঞ্চায়েত ভোটের পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেখানে বিজেপি-র সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে। মলম অঞ্চলের এক সময়ের দাপুটে বিজেপি-র যুব মোর্চার নেতা সুমন সাহু এখন তৃণমূলে। এলাকার আরও অনেক বিজেপি কর্মী শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে মলম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি-র সদস্য সংখ্যা ছিল সমান-সমান। তৃণমূল ৪ ও বিজেপি ৪। তবে বোর্ড গঠনের সময়ে কেবলমাত্র তৃণমূলের ৪ জন সদস্য হাজির হওয়ায় ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল।
যদিও বিজেপি-র অভিযোগ ছিল, তাঁদের সদস্যদের বোর্ড গঠনের দিন আসতে দেওয়া হয়নি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তৃণমূল। তবে এদিন সবিতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে মলম গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫-৩ সংখ্যার হিসেবে এগিয়ে থাকল তৃণমূল।
বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের প্রলোভনে শাসকদলে গিয়েছেন সবিতা। এতে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না। ওখানে আমাদের ভাল সংগঠন রয়েছে।’’