সুশান্তের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত ধোনি বায়োপিকের সহ অভিনেত্রী দেবলীনা দাশগুপ্ত
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: মুম্বাই ফিল্ম তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট নাট্যকর্মী ও শিক্ষাব্রতী দেবলীনা দাশগুপ্ত। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকে (এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি) সুশান্তের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দেবলীনা। খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন ধোনির ভূমিকাভিনেতাকে। তাই রবিবার সুশান্তের মৃত্যু সংবাদ জানার পর থেকে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। ‘ঝাড়গ্রাম কথাকৃতি’ নাটক দলের সদস্যা দেবলীনা একাধারে নাট্যকার ও নাট্য অভিনেত্রী। লিখেছেন বহু মঞ্চসফল নাটক। দেবলীনার স্বামী কথাকৃতির পরিচালক কুন্তল পালের নির্দেশনায় এই রকম বহু নাটক দেশের বিভিন্ন নাট্য প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত ও উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। গিধনি এলোকেশী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবলীনা তাঁর প্রতিভার গুণে ওই ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। সেটাই চলচ্চিত্রে দেবলীনার প্রথম অভিনয় ছিল।
এক সময় খড়্গপুর রেলের টিকিট পরীক্ষক ছিলেন ধোনি। ওই সময় খড়্গপুর রেলের ডিআরএম ছিলেন অনিমেষ গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত, অনিমেষের জন্যই টিকিট পরীক্ষকের কাজ থাকা সত্ত্বেও ক্রিকেট খেলার জন্য বাড়তি সুযোগ পেয়েছিলেন মাহি। সেই অর্থে খড়্গপুরে ধোনির ‘মেন্টর’ ছিলেন অনিমেষ। ছবিতে অনিমেষের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দেবলীনা দাশগুপ্ত। বাংলোর বারান্দায় ধোনিরূপী সুশান্তকে সিঙাড়া দিয়ে আপ্যায়ন করার দৃশ্যে অত্যন্ত সাবলীল অভিনয় করেছিলেন দেবলীনা। আরও একাধিক দৃশ্যে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। ২০১৫ সালে খড়্গপুরে ওই দৃশ্যের শ্যুটিং হয়েছিল।
ধোনির বায়োপিক রিলিজ হওয়ার পরে ছবিতে দেবলীনাকে দেখে উদ্বেল হয়ে পড়েন ঝাড়গ্রামবাসী।
রবিবার সুশান্তরের আত্মহত্যার খবরে খড়্গপুরের পাশাপাশি, শোকের ছায়া ঝাড়গ্রামেও। দেবলীনা বলেন, ‘‘স্টার সুলভ কোনও ব্যাপারই ছিল না সুশান্তের মধ্যে। অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। আমাদের সঙ্গে এত ঘরোয়া ভাবে কথা বলতেন, মিশতেন যে, মনেই হত না যে, উনি রুপোলি জগতের একজন নামী অভিনেতা। কেন যে এমন করলেন!” সুশান্তের অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না রুপোলি পর্দার ধোনির ‘রেল বসের স্ত্রী’। পাঁচ বছর আগের শ্যুটিংয়ের দিনগুলি ভেসে উঠছে চোখের সামনে।