মৃতদেহ সৎকার করে দুই যুবকের ঠাঁই শ্মশানের ঘরে
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: এক বৃদ্ধার সৎকার করে দুই যুবকের ঠাঁই হয়েছে শ্মাশানের ঘরে। ঝাড়গ্রাম শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুই যুবক শুক্রবার রাতে শহরের নহরখাল শ্মশানে এক বৃদ্ধার মৃতদেহের সৎকার করেন। শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধাকে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপরে পুরসভার তত্ত্বাবধানে পুলিশি নিরাপত্তায় ওই বৃদ্ধার মৃতদেহের সৎকার হয় নহরখান শ্মশানে। পুরাতন ঝাড়গ্রামের দুই যুবক টাকার বিনিময়ে সৎকারের কাজ করতে সম্মত হন। কিন্তু রাতে ফিরে এলে বাড়িতে তাঁদের ঢুকতে দেননি পাড়ার কিছু লোকজন। শেষ পর্যন্ত তালতলা শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লির ঘরে তাদের ১৪ দিন থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবকের মধ্যে একজন তালতলা শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি-ঘরে নাইটগার্ডের কাজ করেন। তাঁরা জানালেন, ভাল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁরা সৎকার করতে রাজি হয়েছিলেন। উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পিপিই কিট পরে তাঁরা সৎকারের কাজটি করেন। কিন্তু ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাঁদের স্পষ্ট কোনও ধারণা ছিল না।
[ আরও পড়ুন : বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ভর্তি আইসিইউতে ]
এদিকে এমন ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অবশ্য ওই যুবকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিছু বাসিন্দা বলছেন, করোনা নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা সৎকার করেছিলেন। তবুও তাঁদের নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। করোনা নিয়ে মানুষের মনে নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে। তবে কেউ কেউ বলছেন সাবধানের মার নেই।
১৪ দিন দুই যুবকের আলাদা থাকাই উচিত। দুই যুবকের পরিবারের লোকেরাও চান দু’সপ্তাহ আলাদা থাকার পরে ছেলেরা ঘরে ফিরুক। তবে করোনা নিয়ে আরও সচেতনতা-প্রচার ও গ্রুপ কাউন্সেলিং প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে। এই সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি পালন করা জরুরি। তবে সেই সঙ্গে অসামাজিক হওয়া মোটেই কাম্য নয়। উপযুক্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাও প্রয়োজন।
[ আরও পড়ুন : বড় ঘোষণা করলেন মমতা ব্যানার্জী, চাপে পড়বে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ]