ঢালিউড

৪৭ বছরে পা রাখলেন ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী

৪৭ বছরে পা রাখলেন ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী - West Bengal News 24

ঢাকাই সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। বহুমাত্রিক চরিত্রে তিনি আলো ছড়িয়েছেন রুপালি পর্দায়। সেই ১৯৯৪ সালে তার যাত্রা সালমান শাহের বিপরীতে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে। প্রথম ছবিই তাকে তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছিলো। এরপর দিনে দিনে কেবল নিজেকেই যেন ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।

তিনি ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। আজ ঢালিউডের নন্দিত এ অভিনেত্রী জন্মদিন। এবারে তিনি ৪৭ বছরে পা রাখলেন।

এবারের জন্মদিনটা বেশ বিষাদের। স্বামী ওমর সানী, দুই সন্তান ফারদিন ও ফাইজা কাছে থাকলেও তার মা কাছে নেই। প্রতি বছর মাকে নিয়ে জীবনের নতুন বছর শুরু করেন তিনি। এবার সে সুযোগ হয়নি। তাই অনেক আনন্দের মাঝে মায়ের জন্যও মন খারাপ এ নায়িকার।

এদিকে মৌসুমী ফ্যান ক্লাব এবং ওমর সানী ফ্যান ক্লাব আলাদাভাবে দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করবে বলে জানান মৌসুমী।

করোনার কারণে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি ফিরেছেন মির্জা রাকিব রচিত ও তারেক সিকদার পরিচালিত ‘ভক্ত’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এখানে মৌসুমীকে একজন চলচ্চিত্রের মানুষ হিসেবেই দেখা যাবে।

প্রসঙ্গত, মৌসুমী নামে খ্যাত হলেও নায়িকার পুরো নাম আরিফা পারভিন জামান মৌসুমী। ১৯৭৩ সালে আজকের দিনে খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: উধাও বুবলী, ফেসবুকে শোভা পাচ্ছে শিশুর ছবি!

১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। সেই ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে।

দীর্ঘ ক্যারিয়ার সালমানকে দিয়ে শুরু করেছিলেন মৌসুমী। এরপর ওমর সানী, ইলিয়াস কাঞ্চন, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, অমিত হাসান, রুবেল, মান্না, আমিন খান, ফেরদৌস, রিয়াজ, শাকিল খান ও শাকিব খানসহ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় সব নায়কদের বিপরীতে কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন।

৪৭ বছরে পা রাখলেন ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী - West Bengal News 24

সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও সফল নাম মৌসুমী।

অভিনয়ের পাশাপাশি একজন নির্মাতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটেছে মৌসুমীর। নির্মাণেও তিনি নিজের নামের সৌরভ ছড়িয়েছেন।

একজীবনে অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি তিনি অর্জন করেছেন। কোটি মানুষের ভালোবাসা তার কাছে সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে হয়। আর রাষ্ট্র তাকে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করেছে।

মৌসুমী ‘মেঘলা আকাশ’ সিনেমার জন্য ২০০১ সালে প্রথম এই পুরস্কার হাতে নেন। এরপর ২০১৩ সালে ‘দেবদাস’ ও ২০১৪ সালে ‘তারকাঁটা’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন।

নানারকম সামাজিক কার্যক্রমে জড়িত হতে দেখা যায় তাকে। তিনি পরিচালনা করেন ‘মৌসুমী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’। এর মাধ্যমে থেকে বঞ্চিত মানুষ ও শিশুদের উন্নয়নে নানা ভূমিকা পালন করেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী।

ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন ২০১৩ সাল থেকে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য