ঝাড়গ্রাম

শুভেন্দুর হস্তক্ষেপে জঙ্গলমহলের রোগীকে ভর্তি নিল কলকাতার সরকারি হাসপাতাল

স্বপ্নীল মজুমদার

শুভেন্দুর হস্তক্ষেপে জঙ্গলমহলের রোগীকে ভর্তি নিল কলকাতার সরকারি হাসপাতাল - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: গুরুতর অসুস্থ রোগীকে ফিরিয়ে দিয়েছিল সরকারি হাসপাতাল। শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে সরকারি হাসপাতালেই ঠাঁই হল ওই অসুস্থের। জঙ্গলমহলের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু। তবে মন্ত্রী হিসেবে নয়, তৃণমূলের নেতা হিসেবেও নয়।

জনসেবক পরিচয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া গ্রামের গুরুপ্রসাদ করণের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু। যকৃৎ ও বৃক্কের দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত ৪৯ বছরের গুরুপ্রসাদ। পেশায় তিনি ছোট ব্যবসায়ী। ভুবনেশ্বর ও কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু অসুখ সারেনি। টাকা দিতে না পারার জন্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গুরুপ্রসাদকে ছাড়া হচ্ছিল না। ধার দেনা করে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মেটানোর পরে তবেই ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসুস্থ গুরুপ্রসাদকে ছাড়েন। এদিকে গুরুপ্রসাদ আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। বুধবার পরিবারের লোকজন তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিতে অস্বীকার করেন। গুরুপ্রসাদের পরিবারের লোকেরা বেলিয়াবেড়া ব্লক তৃণমূলের নেতাদের ফোন করেন।

আরও পড়ুন: ছত্রধর মাহাতো কী তৃণমূলের মুখ? সাংবাদিক বৈঠক ঘিরে জল্পনা

অভিযোগ, স্থআনীয় তৃণমূলের নেতারা গুরুপ্রসাদের পরিজনদের ফোন ধরেননি। এরপরে বিষয়টি জানতে পারেন বেলিয়াবেড়া ব্লকের কুলিয়ানা অঞ্চলের খড়িপারিয়া গ্রামের বাসিন্দা শুভেন্দু-অনুগামী দেবব্রত ভুইয়া। তিনি জেলায় শুভেন্দুর মুখ্য অনুগামী স্নেহাশিস ভকতকে বিষয়টি জানান।

স্নেহাশিসের মাধ্যমে পুরো ঘটনা জেনে সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেন শুভেন্দু। তাঁর উদ্যোগে প্রায় চারঘন্টা পরে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউতে গুরুপ্রসাদকে ভর্তি নেন। গুরুপ্রসাদের চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা সাহায্যও করেছেন শুভেন্দু।

শুভেন্দুর এমন মানবিক উদ্যোগ নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন তাঁর অনুগামীরা। কেউ বলছেন, ‘আবার প্রমাণিত হল, জঙ্গলমহলের প্রকৃত জনসেবক ও জননেতা হলেন শুভেন্দু অধিকারী’। কেউ আবার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জয় হো বাংলার জনতার জনসেবক’।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য