কাঁকড়াঝোর: উদ্বোধন হওয়ার পরে কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কিন্তু বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোরে সরকারি অতিথিশালায় থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না পর্যটকেরা।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫২ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি ওই অতিথিশালাটি ভোটের মুখে তড়িঘড়ি উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি অতিথিশালার দ্বারোদ্ঘাটন করেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানী। উদ্বোধনের দিনে জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, অতিথিশালাটি চালানোর জন্য টেন্ডার ডেকে কোনও এজেন্সিকে বরাত দেওয়া হবে।
অতিথিশালাটির লভ্যাংশ পাবে স্থানীয় বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চেয়েত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকেই অতিথিশালাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে সরকারি অতিথিশালায় থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না পর্যটকেরা।
আরও পড়ুন : প্রয়াত বাবার ছবি ছবি নিয়ে জনসংযোগে বিধায়ক-পুত্র
২০০৪ সালের ৪ ডিসেম্বর কাঁকড়াঝোরের সরকারি বন বাংলোটি মাইন ফাটিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল সশস্ত্র মাওবাদীরা। তারপর থেকে সেখানে সরকারি ভাবে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ছিল না। জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরার পরে বদলে যাওয়া কাঁকড়াঝোরে ৬টি বেসরকারি হোম স্টে চালু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হোম স্টে-র জন্য বিনিয়োগ করেছে কলকাতার বেসরকারি সংস্থাও।
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানা লাগোয়া পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা কাঁকড়াঝোরে এখন প্রচুর পর্যটক যাচ্ছেন। তবে শীত পেরিয়ে এখন বসন্তকাল। পর্যটনের মরশুম শেষ হলে আর মাসখানেক। তার আগে সরকারি অতিথিশালাটি পর্যটকদের জন্য চালু করা হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, অতিথিশালাটি লিজে দেওয়ার জন্য এখনও টেন্ডার ডাকা হয়নি।