সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে নিহত পাঁচশতাধিক
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর সেখানে ৫০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী এমন তথ্য দিয়েছে।
সোমবারও সামরিক বাহিনীর সহিংসতায় ১৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদিন বালুর বস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে দিতে আগের চেয়েও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে সেনাদের। যদিও তা কী ধরনের অস্ত্র ছিল; তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
বার্তা সংস্থা এমন খবর দিয়েছে।
গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে জান্তা সরকারের নিষ্ঠুর ধরপাকড়ে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা, নিহত ৫
ইতিমধ্যে বাণিজ্যচুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। আর সপ্তাহের শেষ দিনে প্রাণঘাতী ধরপাকড়ে শতাধিক লোক নিহত হওয়ার পর জান্তা সরকারকে চাপ দিতে ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনি গুতেরেস।
নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রতিদিনই কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও তাজা গুলি ছুড়ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তারা ৫১০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করতে পেরেছে। তবে নিহতের সত্যিকার সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে তাদের ধারণা।
মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে এত বেশি সহিংসতা চরম অগ্রহণযোগ্য, অনেক বেশি লোক নিহত হয়েছেন।
‘আমাদের আরও ঐক্য দরকার, পরিস্থিতি পাল্টাতে জান্তা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও বেশি অঙ্গীকার দরকার।’
২০১৩ সালের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঠামো চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গণতান্ত্রিক সরকার ফিরে না-আসা পর্যন্ত এ চুক্তি কার্যকর করা হবে না বলে তিনি জানান।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাই বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।