ভুয়ো টিকাকাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জনের সহযোগী নর্থ সিটি কলেজের প্রাক্তনী ইন্দ্রজিৎ
ভুয়ো টিকা কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক। ধৃতের নাম ইন্দ্রজিত্ সাউ। ট্যাংরার বাসিন্দা ইন্দ্রজিত্ নর্থ সিটি কলেজে ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্রের আয়োজনের মূল পাণ্ডা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নর্থ সিটি কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র ইন্দ্রজিত্ সাউ। ভুয়ো টিকা সম্বন্ধে সমস্ত তথ্যই ছিল তার কাছে। যদিও এর আগে ইন্দ্রজিত্ নিজেও দেবাঞ্জনের প্রতারণার শিকার বলে আগে দাবি করেছিলেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভুয়ো টিকা কাণ্ডের নায়ক দেবাঞ্জন দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ইন্দ্রজিতের বিষয় জানা গিয়েছে। সূত্রে খবর, তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, আদতে ভ্যাকসিনের বদলে যে অন্য কিছু দেওয়া হচ্ছে, তা জানতেন ইন্দ্রজিত্। শুধু তাই নয়, ইন্দ্রজিতই কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করিয়েছিল দেবাঞ্জনের।
সেই সময় দেবাঞ্জন মাস্ক-স্যানিটাইজার নিয়ে হাজির হন কলেজে। এই কলেজে এসে টিকাকরণ শিবির করার কথা জানান অধ্যক্ষকে। কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার পরিচয় দেওয়ায় রাজি হয়ে যান অধ্যক্ষও। তাঁর কোনও সন্দেহই হয়নি। এরপর ১৮ জুন নর্থ সিটি কলেজের কম্পিউটার ল্যাবে এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। প্রায় ১০০ জন টিকা নেয়। তার মধ্যে ৭ থেকে ১০ জনকে স্পুটনিক দেওয়া হয়। বাকিরা নেয় কোভিশিল্ড।
ইন্দ্রজিত্কে নিয়ে ভুয়ো টিকা কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে কসবা থেকে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব, তার খুড়তুতো ভাই কাঞ্চন দেব এবং দেবাঞ্জনের অফিসের ম্যানেজার শান্তনু মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে দেবাঞ্জনের অফিসের আরও তিন কর্মীকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী অফিসাররা।
চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ অশোক কুমার রায়কেও গ্রেফতার করা হয়। কসবায় যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস তৈরি করেছিল মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব, তার মালিক অশোক কুমার রায়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় দেবাঞ্জনের নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যকে।
সূত্র: এই মুহুর্তে