ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে তৈরি হয়েছে নতুন সন্ন্যাসী আবাসন। স্বামী আত্মস্থানন্দের নামাঙ্কিত ওই ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন হল সোমবার রথযাত্রার দিনে। ফিতে কেটে সন্ন্যাসী আবাসনের দ্বারোদ্ঘাটন করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের অছি পরিষদের সদস্য তথা কাঁকুড়গাছির যোগোদ্যান রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিমলাত্মানন্দ।
এদিন দ্বারোদ্ঘাটন উপলক্ষে শ্রীরামকৃষ্ণের বিশেষ পুজো হয়। ছিলেন ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী বেদপুরুষানন্দ, সহ-সম্পাদক স্বামী অলোকেশানন্দ, কোষাধ্যক্ষ স্বামী ব্রহ্মেশ্বরানন্দ সহ ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর ও ঘাটশিলা মিশনের সন্ন্যাসীরা।
২০১৬ সালে সরকারি ঝাড়গ্রাম একলব্য স্কুলের পরিচালনার দায়িত্ব রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই মিশনের দৌলতে আদিবাসী ছেলেমেয়েদের স্কুলটির ভোল বদলে গিয়েছে। ২০১৭ সালে মিশনের ঝাড়গ্রাম শাখার অনুমোদন দেন বেলুড় মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ।
ঝাড়গ্রাম শহরের সত্যবানপল্লীতে একলব্য স্কুলের পাশেই মিশনের জন্য ৫ একর জমি দেয় রাজ্য সরকার। জায়গায় গড়ে উঠেছে ঝাড়গ্রাম মিশনের প্রার্থনাগৃহ। তবে মিশন চত্বর থেকে কিলোমিটার দু’য়েক দূরে বাঁদরভোলায় বন উন্নয়ন নিগমের প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রের পাশে একটি সরকারি অতিথিশালায় থাকেন সন্ন্যাসীরা। এবার আশ্রম চত্বরে মিশনের উদ্যোগে একটি বেসরকারি সংস্থার অর্থ সাহায্যে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে সন্ন্যাসী আবাসন তৈরি হল। নতুন আবাসনে চলে এসেছেন সন্ন্যাসীরা।