অপারেশন থিয়েটারে মৃত্যু যুবতীর
অপারেশন থিয়েটারে মৃত্যু হল যুবতীর। তবে সেই ‘মৃত’কেই অন্য হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য রেফার করলেন চিকিত্সক। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ঘটনা। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
জানা গিয়েছে, বারখেদার বাসিন্দা প্রকাশের স্ত্রী মুসকানকে পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের অধীনে বন্ধ্যাকরণ অপারেশনের জন্য ভোপালের জেপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার খানিক পরই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক মুসকান জীবিত থাকার কথা জানিয়ে হামিদিয়া হাসপাতালে রেফার করেন। মৃতের স্বামী প্রকাশ জানিয়েছেন, চিকিত্সক তাঁর স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেননি।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ উপভোগ’ করতে বলে তোপের মুখে সাবেক স্পিকার!
বদলে আত্মীয়দের একটি অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতে বলেছিলেন। খানিক পরে সেই চিকিত্সকই এক নার্সের মোবাইল থেকে ১০৮ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন।
পরিবারের অভিযোগ, যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বাঁচাতেই জেপি হাসপাতালের ওই চিকিত্সক মৃত্যু হওয়ার পরও মুসকানকে অন্য় হাসপাতালে রেফার করেন। আত্মীয়-স্বজনদের বলেন যে যুবতী বেঁচে আছেন। দ্রুত তাঁকে হামিদিয়া হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
গোটা বিষয়টি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতেই চিকিত্সক এই কাজ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন রাকেশ শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। মৃত্যুর কারণ জানার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”