Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জানা-অজানা

প্রশান্ত সাগরের এল নিনো’র কারণে ভারতে ১০০ বছরে ১৩টি খরা

প্রশান্ত সাগরের এল নিনো’র কারণে ভারতে ১০০ বছরে ১৩টি খরা

পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে কোনও কোনও বছর উষ্ণ দক্ষিণমুখী এক স্রোতের সৃষ্টি হয়। যার নাম এল নিনো। এর প্রভাব পড়ে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র এবং সারা বিশ্বের আবহাওয়ায়। সাত বছর পর আবারও এই উষ্ণস্রোতের দেখা মিলেছে প্রশান্ত মহাসাগরে। এর প্রভাব পড়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে। এল নিনোর প্রভাব ভারত মহাসাগর থেকে ভারতের স্থলভাগকে মারাত্মক প্রভাবিত করে। এতে ভারতে খরা অনাবৃষ্টির সৃষ্টি হয়। ভারতে গত ১০০ বছরে ১৮ বার খরা হয়েছে। এই ১৮টি খরার মধ্যে ১৩টির কারণ এল নিনো।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে এসেছিল এল নিনো। তার পর ২০২৩ সালে আবার তার প্রত্যাবর্তন হয়েছে।

আমেরিকার ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনস্ট্রেশন (এনওএএ) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনোর দেখা মিলেছে। ২০০০ সাল থেকে এই নিয়ে পঞ্চম বার উষ্ণ স্রোতটির দেখা গিয়েছে।

প্রশান্ত সাগরের এল নিনো’র কারণে ভারতে ১০০ বছরে ১৩টি খরা

সাধারণভাবে বছরের এই সময়ে নিরক্ষরেখা বরাবর আয়নবায়ু পশ্চিম দিকে বইতে শুরু করে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকার দিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ জল এশিয়ার দিকে প্রবাহিত হয়। কিন্তু এল নিনোর প্রভাবে আয়নবায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে। এই বাতাস এশিয়ার দিকে আসার পরিবর্তে পশ্চিম আমেরিকার উপকূলেই থেমে যায়। ফলে নিরক্ষরেখা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের জল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক উষ্ণ থাকে।

প্রশান্ত সাগরের এল নিনো’র কারণে ভারতে ১০০ বছরে ১৩টি খরা

পরিসংখ্যান বলছে, ১৯০০ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরে সাত বার এল নিনোর সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এল নিনোর দেখা মিলেছে অন্তত ১৫ বার। এল নিনোর প্রভাবে এই ১৫ বছরের মধ্যে ৯ বার ভারতে বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি। স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম বৃষ্টি হয়েছে এই বছরগুলোতে।

পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে পেরু, ইকুয়েডর বরাবর কোনও কোনও বছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ এক প্রকার উষ্ণ দক্ষিণমুখী স্রোতের সৃষ্টি হয় এল নিনো। এল নিনোর প্রভাবে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তরমুখী শীতল পেরু স্রোত বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র সাময়িক ভাবে ঘেঁটে যায়। ওই অঞ্চলে মৎস্যচাষে ব্যাঘাত ঘটে। সামুদ্রিক প্রাণী এবং পাখিদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে এই স্রোতের প্রভাবে।

প্রশান্ত সাগরের এল নিনো’র কারণে ভারতে ১০০ বছরে ১৩টি খরা

নিরক্ষরেখা বরাবর প্রশান্ত মহাসাগরের জল এল নিনোর প্রভাবে ধারাবাহিক ভাবে উষ্ণ হতে শুরু করে। এর ফলে কোথাও অতিবৃষ্টিতে বন্যা, কোথাও অনাবৃষ্টিতে খরার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button