বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুতে ধুপগুড়ি বিধানসভায় উপ নির্বাচন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হলেও আজ শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ধুপগুড়িতে। তৃণমূলের নজরে অবশ্যই চা বলয়।
গত বছর জুলাই মাসেই ধূপগুড়িতে সভা করে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে চা বাগান এলাকার সব আসন জিতেছিল বিজেপি। এমনকী, বিধানসভা ভোটে ভরাডুবিতেও চা বাগানের আসনগুলি জিতেছিল বিজেপি। গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট দু’টি দিন জনসভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
চা বলয়ের সভায় আগেই যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল ও INTTUC শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে চা শ্রমিকদের নিয়ে সোচ্চার হবে , যেখানে যা দরকার হবে পাশে দাঁড়াব। অনেকের মধ্যেই ধারণা তৈরি হয়। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা কেন দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হচ্ছেন না ? সমাবেশে আপনারা পিএফ গ্র্যাচুইটি নিয়ে সমস্যার কথা বলেছেন , সে সব আমার কানে এসেছে। পানীয় জলের সমস্যার কথা বলেছেন , মজুরির কথা বলেছেন , সেগুলি কানে এসে পৌঁছেছে। একদিকে দার্জিলিং হিল….ঐ দিকে উত্তর দিনাজপুর, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ চা শ্রমিক এই সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বা টিভিতে দেখছেন।’’
প্রসঙ্গত , গত ২৫ শে জুলাই কলকাতার হাসপাতালে প্রয়াত হন ধুপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। ২০২১ সালে ধুপগুড়ি থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১০৪৬৮৮ ভোট পান বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ বাবু। তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়ের প্রাপ্ত ভোট ১০০৩৩৩। হিসাব অনুযায়ী , প্রায় ৪ হাজার ৩৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী।
উত্তরবঙ্গে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থেকে ভাল ফল করে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে উত্তরের জেলায় ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরের জেলাগুলি থেকেই তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে আগে থেকেই ঘুটি সাজানো শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনেও ভাল ফল করতে আশাবাদী বাংলার শাসক দল।