শুধু চাঁদে মহাকাশযান পাঠানো নয়, ফিরিয়েও আনতে পারে – চন্দ্রযান-৩ এর প্রোপালশন মডিউলকে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরিয়ে প্রমাণ দিল ISRO
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
ইসরোর মুকুটে ফের সাফল্যের পালক। চন্দ্রযান-৩-এর প্রোপালশন মডিউলকে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরিয়ে আনল ইসরো। ল্যান্ডার বিক্রমকে নির্দিষ্ট অবস্থানে পৌঁছে দেওয়ার পর প্রোপালশন মডিউল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মহাকাশেই। এতদিন চাঁদের কক্ষপথেই ঘুরছিল এটি।
মোটামুটি সাড়ে তিন মাস পর চাঁদের কক্ষপথ থেকে প্রোপালশন মডিউলকে ফিরিয়ে পৃথিবীর কাছাকাছি আনলেন বিজ্ঞানীরা। এর থেকেই ইসরো প্রমাণ করল ভারত শুধু চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতেই পারে না, ফিরিয়েও আনতে পারে। মহাকাশ সংস্থা ইসরোর মুকুটে নতুন করে সাফল্য পালক জুড়েছে।
লক্ষ্য পূরণ হওয়ার বিজ্ঞানীরা দেখেন প্রোপালশন মডিউলের অনেকটা জ্বালানি বেঁচে গিয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই জ্বালানি ব্য়বহার করে প্রোপালশন মডিউলের আয়ু বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রোপালশন মডিউলকে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয় অক্টোবর থেকে।
১০ নভেম্বর চাঁদের স্ফিয়ার অফ ইনফ্লুয়েন্স ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগে পর্যন্ত চারটি ফ্লাইবাই সম্পন্ন করেছে প্রোপালশন মডিউলটি। বর্তমানে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। ২২ নভেম্বর প্রথম পেরিজি অতিক্রম করেছে। বর্তমানে সুস্থ অবস্থাতে পৃথিবীর কক্ষপথে পাক খাচ্ছে এটি। কোনও স্যাটেলাইটের সঙ্গে ধাক্কা লাগেনি।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছের এক জায়গায় সফটল্যান্ডিং করার লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছরের ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল চন্দ্রযান-৩। ২৩ শে আগস্ট ছিল সেই ঐতিহাসিক দিন। প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে নেমেছিল ভারতের মহাকাশ যান।
এর আগে চাঁদে সফল অবতরণের পর, চাঁদের বুকে লাফ দিয়েছিল বিক্রম ল্যান্ডার। ইসরো প্রাথমিকভাবে ,সেই পরীক্ষার পরিকল্পনা না করলেও, সেটা ছিল দ্বারা ইসরোর অনেক বড় কীর্তি। কারণ , সেই পরীক্ষায় চাঁদে মহাকাশযানের ইঞ্জিনকে ফের চালু করা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে ইসরোর ক্ষমতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।