বাতিল ফাইল বিক্রি করে কোষাগারে প্রায় ১,১৬৩ কোটি টাকা – আবর্জনার মাঝেও সোনা ফলিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
চন্দ্রযান-৩ অভিযানের ব্যপক সাফল্য , অভিযানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। যদি বলা হয় এই ধরনের দু-দুটো চন্দ্র অভিযান আয়োজন করতে পারে মোদী সরকার। বিশ্বাস করবেন ? তা আবার শুধুমাত্র কাগজের ফাইল , খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা বিক্রি করেই। একদিকে এই ফাইল গুলি বিক্রি করে কোষাগারে অর্থ এসেছে, আবার এই ফাঁকা হওয়া জায়গাগুলি অন্যান্য কাজে লাগানো গিয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি থেকে এই ধরনের ৯৬ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল , প্রায় ১,১৬৩ কোটি টাকা আয় কেন্দ্রীয় সরকারের! আবর্জনাতেও সোনা ফলালেন মোদী, উঠে এল দু-দুটো চন্দ্রযান-৩ অভিযানের টাকা। এর ফলে অফিসগুলিতে প্রায় ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে। প্রায় ২৪ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল হয়েছে চলতি বছরেই।
যে ১,১৬৩ কোটি টাকা এইসব আবর্জনা বিক্রি করে রোজগার করেছে সরকার, তার মধ্যে চলতি বছরের অক্টোবরেই এসেছে ৫৫৭ কোটি টাকা! এর পিছনে রয়েছে মোদী সরকারের মাসব্যাপী স্বচ্ছতা অভিযান। সবার আগে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তারা চলতি বছরে প্রায় ৩.৯ লক্ষ ফাইল বাতিল করেছে।
আবর্জনা বিক্রির ৫৫৭ কোটি টাকার মধ্যে সিংহভাগ এসেছে রেল মন্ত্রক থেকে। তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এরপর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খালি করেছে ১৯ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস , আয় ১৬৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। আয় ৫৬ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে কয়লা মন্ত্রক, খালি করেছে ৬৬ লক্ষ বর্গফুট জায়গা , আয় করেছে ৩৪ কোটি টাকা।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভেন্স বিভাগের সচিব ভি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন , এক মাসে ভারতে এবং বিদেশের ২,৫৮,৬৭৩ টি অফিসে স্বচ্ছতা অভিযান চলেছে। এর ফলে ১৬৪ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস খালি হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীকে স্বচ্ছাঞ্জলী দিতে যে উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার , তার সাফল্য পরিসংখ্যানেই ধরা পড়েছে।