রাজ্য

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দৈনিক কাগজের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দৈনিক কাগজের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার

সত্যি সত্যি একদিন কি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদারকে গাড়ি চাপা দিয়েই খুন করবে, গতকাল একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনি। তেমনি পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়েছিল গতকাল কলকাতায় আলিপুর গোপালনগর এলাকায়।

একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে তবে খুব ভারি চোট পেয়েছে পা ও হাত ও কাঁধে। প্রাথমিক চিকিৎসা হয়ে কোনক্রমে তিনি বাড়ি ফিরেছেন, গত কয়েক মাস ধরে সম্পাদক খুন হয়ে যেতে পারে, যে কোন ভাবে, গাড়ি এক্সিডেন্ট করে বা অন্য কোন ভাবে বিষক্রিয়া করে বা গুলি করে ,হোক বা কুপিয়ে, যে কোন ভাবে খুন করা হতে পারে।

এই বিষয় নিয়ে এস ডি পি ও ক্যানিং সাহেবকে লিখিত জন্য হয়েছিল প্রায় দেড় মাস আগেই। সম্পাদক সম্পাদকের পরিবারের নিরাপত্তার অভাব হচ্ছে সেটা স্পষ্ট ভাষায় লিখিত জানিয়েছিলেন। সেই কথাটা যেন আজ সত্যের পথের রূপ নিল, সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার একটুর জন্য আলিপুর গোপালনগরের প্রাণী বেঁচে গেলেন।

তবে সাথে সাথে দায়িত্ব থাকা ট্রাফিককে জানিয়েছিলেন সম্পাদক, গাড়ির চারটি অক্ষর কোনরকম তিনি দেখতে পেয়েছিলেন। AG 8672 এর আগে কী ছিলো সেটা জানানেই, এক্সিডেন্ট হওয়ার পরে প্র ায় ঘন্টা দিয়ে গোপালনগর মোড়ে বসে নিউ সারাদিন সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার।

একা পা তুলে হাঁটার শক্তিটাও ছিল না তার সেই মুহূর্তে, কোন রকম ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করায় মৃত্যুঞ্জয় বাবুর পরিচিত এক অফিসারের লোকজন এসে। বহু কষ্টে বাড়ি ফিরে এখন তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, পুলিশ সমস্ত ঘটনা জানার পরেও সম্পাদকের নিরাপত্তা তো দেওয়া দূরের কথা কোন বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তবে এ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে কি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একাংশ রা হক হুষ খুশ ফিরতে পারে, সত্য নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকতার পরিণাম আজ দীর্ঘকুড়ি বছর মৃত্যুঞ্জয় সরদার কিভাবে পোড়াতে হচ্ছে।

হয়তো পুলিশ নিরাপত্তা না দেওয়ার কারণে এইভাবে অকালে গাড়ির তলায় জীবন চলে যেতে পারে, রাস্তাঘাটে যে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ হবে এটা আগে থেকে প্রশাসনকে জানানোর পরে এমনই ঘটনা ঘটলো কিভাবে। তবে সমস্ত ঘটনাটাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় বাবু।

এভাবে অকালে যদি কাগজে সম্পাদকের জীবন চলে যায় তাহলে কি রাজ্য প্রশাসনের মুখ উজ্জ্বল হবে। এ প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সাংবাদিক মহলে। তবে সর্বত্র ভাবে সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন ,পুলিশ তেমন কোন সাহায্য করেনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button