তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন তিনি। সেই কথা রাখলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজেপির সল্টলেক অফিসে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন তিনি।
যোগদানের পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আজ থেকে একেবারে নতুন জগতে পা রাখলাম। দলের শৃঙ্খলবদ্ধ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা পালন করব।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য, বাংলা থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজানো।
লোকসভায় বাংলার দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের পতন হবে। বাংলার মানুষের জন্য বিজেপির ক্ষমতায় আসা দরকার। বাংলাকে পিছিয়ে পড়তে দেখে বাঙালি হিসেবে আমার কষ্ট হয়। বাংলাকে দুর্নীতিমুক্ত করাই আমার লক্ষ্য।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকালে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে ডাকযোগে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের চেম্বারে গিয়েও পদত্যাগপত্রের প্রতিলিপি জমা দেন। এর পর দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিতে যাওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। সেই ঘোষণা অনুযায়ীই অবশেষে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি।