ফের পতন দালাল স্ট্রিটে। সেনসেক্স ৩৮৩.৬৯ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ৭৩,৫১১.৮৫ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ারে দেদার বিক্রি দেখা গিয়েছে। দালাল স্ট্রিটের গ্রাফ অনেকটাই নিচের দিকে গিয়ে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সময় মনে রাখতে হবে বাজার আসলে গোলক ধাঁধা মত। বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে ভারতের দালাল স্ট্রিটের গতিপ্রকৃতি। সে ক্ষেত্রে বিদেশি মার্কেট গুলির প্রভাব যেমন থাকে তেমনই দেশী বাজারের হালহকিকত নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকাও বিশেষভাবে দরকার।
বর্তমানে শেয়ার বাজারে যা অবস্থা তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লার্জ ক্যাপ স্টকগুলিতে ২০ শতাংশের কাছাকাছি লাভ দিলেই টাকা তুলে নেওয়া প্রয়োজন। স্মল ক্যাপের ক্ষেত্রে অঙ্কটা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিবেচনা করা যেতে পারে। এই অঙ্কে আপাতত বিনিয়োগ করলে লোকসানের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কপ থাকে।
সেনসেক্স স্টকগুলির মধ্যে, পাওয়ারগ্রিড, ইন্ডাসাইন্ড ব্যাঙ্ক, টাটা মোটরস, জেএসডব্লিউ স্টিল, এনটিপিসি, এইচসিএল টেকনোলজিস, টাটা স্টিল, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে বড় পতন দেখা গিয়েছে।
তবে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার বেড়েছে পাঁচ শতাংশের বেশি। হিন্দুস্তান ইউনিলিভার ছাড়াও টেক মাহিন্দ্রা, নেসলে, আইটিসি, উইপ্রো, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক কিছুটা বেড়েছে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটিও ১৪০.২০ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ কমে ২২,৩০২.৫০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।
এশিয়ার অন্যান্য বাজারে দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি, জাপানের নিক্কেই এবং চিনের সাংহাই কম্পোজিট এদিন মোটের উপর লাভেই ছিল। কিন্তু, হংকংয়ের হ্যাং সেং লোকসানে ছিল। ভারতে মন্দা দশা চললেও ইউরোপের প্রধান বাজারগুলিতে লেনদেনের গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখীই থিল। মার্কিন বাজার ওয়াল স্ট্রিটও সোমবার মুনাফা ঘরে তুলেছে।