শনিবার সকালে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে আছড়ে পড়বে রেমাল
আশঙ্কা সত্যি করে ষষ্ঠ দফার ভোটের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। পশ্চিম মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) সৃষ্ট সুস্পষ্ট নিম্নচাপ সিস্টেমটি আজ শুক্রবার সকালে আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপের আকার নেবে। সমুদ্রের ওপরে অবস্থান করে ক্রমশ তা শক্তি বাড়িয়ে আগামীকাল শনিবার ২৫ তারিখ সকালে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে এখবর জানান হয়েছে।
হাওয়া অফিসের জারি করা সতর্ক বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ২৬ তারিখ সন্ধ্যে নাগাদ তা সিভিয়ার বা প্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত সুস্পষ্ট। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ সর্ব্বোচ্চ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে।
এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে ভারী বৃষ্টি। এইসব এলাকায় ভারী বর্ষণের ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে নবান্নের তরফে। আজ থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলীয় এলাকা গুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কীকরণ প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। সমস্ত উপকূলী থানার পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের তরফে শুরু করা হয়েছে মাইকিং। মাইকিং এর মাধ্যমে উপকূলবাসীকে সতর্ক করার কাজ চালানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্যে আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। মজুত রাখা হচ্ছে শুকনো খাবার ও পানিও জল। কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।
সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের ২৭ তারিখ সকাল পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুর পরিস্থিতি দিকে নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন।