রাজ্য

মারণ ছোবল দিতে তৈরি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’! রবিবার সন্ধ্যায় সুন্দরবনের ঝড়খালিতে ল্যান্ডফলের আশঙ্কা

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

মারণ ছোবল দিতে তৈরি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’! রবিবার সন্ধ্যায় সুন্দরবনের ঝড়খালিতে ল্যান্ডফলের আশঙ্কা

মারণ ছোবল দিতে তৈরি ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মারণ গতিবেগে ক্রমশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে বর্তমানে ক্যানিং থেকে নিম্নচাপের দূরত্ব ৪৬০ কিমি, সাগরদ্বীপ থেকে নিম্নচাপের দূরত্ব ৪২০ কিমি।

বর্তমানে এটি মধ্য বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে উত্তর পূর্ব দিকে এগোতে শুরু করেছে। রবিবার রাতে বাংলা-বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড় রেমালের। রবিবার রাতে সুন্দরবনের ঝড়খালি হলদিবাড়ি অঞ্চল ল্যান্ডফল করার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে , এই ঘূর্ণিঝড়ের উৎস চেন্নাই উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ৭২০ কিলোমিটার দূরে ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থল। আবহাওয়াবিদরা বলছেন,  ভারত মহাসাগরের একটা বড় অংশের তাপমাত্রা বেশি থাকার ফলেই এই ঝড়ের জন্ম।

যে জায়গায় ল্যান্ডফল হবে সেখান থেকে ১৭০০ কিলোমিটার রেডিয়াসের মধ্যে এর প্রভাব সবথেকে বেশি থাকবে। আরও আশঙ্কার কথা এটাই যে , রবিবার রাত সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে আবার রয়েছে ভরা কোটাল। সে কারণে ঝড় ও ভরা কোটালের জোড়া প্রভাবে চার থেকে পাঁচ মিটারের জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে উপকূলে।

ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর , সুন্দরবনের সবকটি উপকূল থানার পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং। বিশেষত ফ্রেজারগঞ্জের দাস কর্নার , হাতি কর্নার , নামখানার অমরাবতী সহ বকখালি সমুদ্র সৈকতের উপকূলীয় এলাকায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

লাগাতার মাইকিং কাকদ্বীপ , পাথরপ্রতিমা সহ সুন্দরবনের একাধিক এলাকায়। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন ভুটভটিতে মৎস্য শিকার করা মৎস্যজীবীদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের গ্রামগুলিতেও চলছে সতর্কতামূলক প্রচার।

এদিকে শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে ঘন কালো মেঘের আনাগোনা। এদিনও রয়েছে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। ইতিমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি শুরুও হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন উপকূলে ১০০-১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস ও অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বকখালি সমুদ্র বদলেছে তার রূপ।

শান্ত সমুদ্র এখন দানবীয় রূপে , বিশালাকৃতি ঢেউ সঙ্গে সমুদ্রের গর্জন – একের পর এক দানবীয় ঢেউ ক্রমশ আছড়ে পড়ছে তীরে। কলকাতায় ঝড়ের তীব্রতা থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে। রবিবার কলকাতায় থাকছে লাল সতর্কতা। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনার সমস্ত জায়গাতেই রয়েছে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস।

আরও পড়ুন ::

Back to top button